বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মুঠোফোনে ভূমিধসের প্রাথমিক সতর্কতা বার্তা ব্যবহার করা হবে।
বর্তমানে ভূমিধসের যে সতর্কতা রয়েছে তা কেবলমাত্র একটা অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে সংকেত দিবে, কিন্তু নতুন সিস্টেমটি বিপদগ্রস্ত অঞ্চলে বসবাসকারীদের ইমেল এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে এসএমএস বার্তায় কমপক্ষে পাঁচ দিন আগে জানানো সম্ভব হবে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কক্সবাজারের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএইচ কাওসার রুদ্র স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), সরকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার অংশীদারিত্বের সাথে কক্সবাজারের জন্য একটি নতুন প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা উপগ্রহের চিত্র, বৃষ্টিপাতের স্তর এবং অন্যান্য আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্যগুলির ইনপুটগুলি ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ মডেলিংয়ের উপর ভিত্তি করে সম্পন্ন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভূমিধস বিশেষজ্ঞ এফএও’র ডা. বায়েস আহমেদ প্রকল্পটিতে কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থাটি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল এবং বৃষ্টিপাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ এবং ভূমিধসের বিস্তারিত বিশদ বিশ্লেষণ করে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের ই-মেইল বা ফোনের মাধ্যমে সতর্কতা জানান দেওয়া যায়।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন বলেন, ‘আমরা জনগণের দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের সাথে কাজ করছি এবং আধুনিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এই নতুন ভূমিধসের প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যা মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করবে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সহযোগিতায় প্রাথমিক ইউএসএইডের তহবিলের আর্থিক সহায়তায় প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থাটি এফএও করেছিল।