বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
শীত চলে এসেছে। বাজারে বেড়েছে খেজুর গুড়ের চাহিদাও। এখানে ওখানে খেজুর গুড় বিক্রেতারা নিজেদের ব্যবসায় পসরা নিয়ে বসেছেন। ক্রেতারাও তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন খেজুর গুড় কিনতে। শীতকালে শুধু গুড়েরই চাহিদা থাকে না, থাকে অন্যান্য ধরনের গুড়ের চাহিদাও। তবে বাজারে এখন ভেজালের ভিড়ে আসল নকল চেনা দায় হয়ে পড়েছে। বহু ক্রেতাই বুঝতে পারেননা খাঁটি খেজুর গুড় কোনটি। নকলের ভিড়ে খাঁটি খেজুর গুড় চেনার জন্য কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করলেই অতি সহজেই বুঝতে পারবেন আসল এবং নকলের পার্থক্য। অন্যান্য জিনিস ক্রয় করার সময় আমরা খুব ভালোভাবে আসল নকল দেখে কেনার চেষ্টা করি। গুড়ের ক্ষেত্রে আমরা উপর থেকে দেখেই গুড় কিনি। গুড় কেনার সময় আমাদের অবশ্যই সচেতন ভাবে দেখে তারপরে কেনা উচিত যাতে করে আসল গুড় ভেবে নকল গুড় বাড়িতে নিয়ে না যান!
ছবি সংগৃহীত।
কিন্তু খেজুর গুড় আসল না নকল চিনবেন কিভাবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক ভালো খেজুর গুড় চেনার প্রাথমিক কিছু কৌশল।খেজুর গুড় কেনার সময় যে পাত্রে খেজুর গুড় রাখা আছে সেই পাত্রের ধারে জমে থাকা গুড়ে দুটি আঙুল দিয়ে চেপে দেখবেন গুড়টি নরম কিনা। যদি নরম হয় তাহলে বুঝবেন এই খেজুর গুড়টি সত্যিই খুব ভালো। এই গুড়ে অন্য কোন ভেজাল মেশানো সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
ছবি সংগৃহীত।
খেজুর গুড় কেনার আগে সামান্য একটু খেয়েও দেখতে পারেন। খেয়ে দেখে যদি বোঝেন গুড়ে নোনতার ভাব বেশি থাকে, তাহলে বুঝবেন গুড়টি ভালো নয়। এই গুড়ে হয় ভেজাল মেশানো আছে, অথবা গুড়টি অনেক পুরাতন। মনে রাখবেন গুড় যতই পুরাতন হয়, তাতে নুনের পরিমাণ ততই বাড়তে থাকে।
গুড় কেনার সময় অবশ্যই দেখবেন গুড়ে যদি স্ফটিকের মতো চকচকে ভাগ বেশি থাকে, তাহলে বুঝবেন গুড়টির মিষ্টতা খুব একটা ভালো নয়। যে খেজুরের রস দিয়ে এই গুড়টি বানানো হয়েছিল, সেই রসে মিষ্টতার পরিমাণ অনেক কম ছিল। তার কারণেই এমন স্ফটিকের মতো চকচকে ভাব। কারণ এই গুড়টিতে মিষ্টতার পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণে কেনা চিনি মেশানো হয়েছে গুড় তৈরির সময়।
গুড় কিনে দেখবেন অনেক ক্ষেত্রে একটু তেতো ভাব থাকে। জানবেন এই গুড় বানানোর সময় বহুক্ষণ ধরে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছিল। তার জন্যই গুড়ের স্বাদ তিতকুটে হয়।
ভালো গুড় চেনার সবচেয়ে ভালো উপায় হল গুড়ের রঙ। গুড়ের রঙ দেখেই বাইরে থেকে গুড়ের গুনগত মান বিচার করা সম্ভব। তাই গুড় কেনার সময় অবশ্যই গুড়ের রঙ দেখে নেবেন। রংয়ের ক্ষেত্রে গারো বাদামি রং হল ভালো গুড়ের পরিচয়। গুড়ে যদি হলদেটে ভাব থাকে তাহলে বুঝবেন এই গুড় মোটেই ভালো নয়, এই গুড় তৈরীর সময় অবশ্যই রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়েছিল।
চিনির বিকল্প হিসেবে সারাবছরই গুড়ের চাহিদা। গুড়ে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন। বাজারে খাঁটি গুড়ের পাশাপাশি ভেজাল গুড়ও রয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম চিনি ও রঙ মিশিয়ে তৈরি করে ভেজাল খেজুরের গুড়। বাজারে বিক্রি করে সেই ভেজাল খেজুরের গুড়।
১. খাঁটি গুড় নরম হবে। শক্ত ধরনের হলে বুজতে হবে ভেজাল আছে।
২. গুড়ের টুকরো একটু ভেঙে মুখে দিন। চিনির মতো স্বাদ বা তিতকুটে স্বাদ হলে তা খাঁটি নয়।
৩. গুড়ে কৃত্রিমভাবে চিনি মেশানো হলে সেটা দেখতে চকচকে কিংবা স্ফটিকের মতো সাদাটে হ
৪. গুড় সাধারণত গাঢ় বাদামি রঙের হয়। হালকা ধরনের রঙ বা হলদে রঙ হলে সেটি কিনবেন না। হলদেটে রঙের গুড় দেখলেই বুঝতে হবে তাতে অতিরিক্ত রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
৫. এক গ্লাস পানিতে গুড়ের টুকরো ফেলুন। ধীরে ধীরে গলে গেলে বুঝবেন গুড় খাঁটি। নিচে জমে গেলে সেটাতে ভেজাল রয়েছে।