বিজনেসটুডে৩৫ ডেস্ক
দুধ অনেকেরই সয় না। কারণ দুধের ল্যাকটোজ হজম হয় না অনেকের। দুধ খেলেই শরীর খারাপ করছে, পেটের সমস্যা হচ্ছে বলে খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকের। দুধে অ্যালার্জি থাকলে আলাদা কথা, না হলে এমন হতেই পারে বাজার থেকে যে দুধ কিনছেন তার পুরোটাই ভেজাল। টোনড মিল্ক বা লো ফ্যাট মিল্ক বলে যা বিক্রি হচ্ছে তার সবগুলোই কি খাঁটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক ভেজাল দুধ চিনবেন কী করে।
দুধ বা ডিমজাতীয় খাদ্য কিন্তু খুব ভাল কালচার মিডিয়াম। মানে হল, চট করে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে। প্যাকেটের পাস্তুরাইজ করা দুধ না ফোটালেও চলে। কিন্তু প্যাকেট খুললে সেই দুধ বেশিদিন রাখা ঠিক নয়। দেখবেন কিছু কিছু দুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে ইউএইচটি মিল্ক। এর মানে হল ১৪০ ডিগ্রিতে গরম করে দুধটি প্যাক করা। এদের প্যাকেটবন্দি অবস্থায় অনেকদিন রাখা যায়।
আপনি যে দুধ কিনে আনছেন তার কিছুটা মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন, দুধ গড়িয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। ভেজাল হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
আরও কিছু উপায় আছে বোঝার। ধরুন দুধ জাল দিচ্ছেন, যদি দেখেন হলদেটে হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশেছে কার্বোহাইড্রেট।
স্টার্চ টেস্ট করে ফেলুন বাড়িতেই। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
অনেক সময়েই দীর্ঘদিন দুধ তাজা রাখতে তাতে ফর্মালিন মেশানো হয়। দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে এর মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি নীল রং হয়, তবে ফর্মালিন আছে।
এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছু ক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমাস নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।
দুধ একটা ছোট শিশিতে ঢালুন। এবার শিশির মুখ বন্ধ করে খুব জোরে ঝাঁকাতে থাকুন। যদি দেখেন ফেনা উঠছে তাহলে বুঝবেন সেই দুধে ডিটারজেন্ট পাউডার মেশানো আছে। একেবারেই ভেজাল দুধ।