বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: সিটি নির্বাচনে ব্যয় সংস্থানে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রধান দু’ মেয়র প্রার্থি এম রেজাউল করিম চৌধুরী এবং ডা. শাহাদাত হোসেনকে।
আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ। পারিবারিক ভূ-সম্পত্তি থেকে পাওয়া ভাড়া ও অনান্য খাতের আয়ের ওপর নির্ভর। অন্যদিকে, বিএনপির শাহাদাত হোসেন একজন পেশাজীবি। চিকিৎসা পেশার আয়ের ওপর নির্ভর। মনোনয়নপত্রের সাথে দেয়া হলফনামায় দু’জন যে সম্পদের বিবরণী দিয়েছেন তাতে এ বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক মেয়র প্রার্থি ৩১লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নির্বাচনের জন্য ব্যয় করতে পারবেন। হলফনামায় প্রার্থিরা জানিয়েছেন, এই টাকাও তারা নিকটাত্মীয় বা শুভার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।
দেশে নির্বাচনের যে সংস্কৃতি তাতে অনেকটা নিশ্চিত যে নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া ব্যয় অনুযায়ী ভোট আদৌ সম্ভব নয়। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থিদের বিপুল অর্থ খরচ করতে হবে। আর ভূসম্পত্তি থেকে ভাড়া বাবদ আয় বা চিকিৎসা পেশার আয় থেকে রেজাউল বা শাহাদাতের পক্ষে এই ব্যয় নির্বাহ সম্ভব নয়।
নির্বাচনের মাঠে নতুন দু’প্রার্থির বিশাল ব্যয় কিভাবে সংস্থান হবে তা নিয়ে কৌতুহল আছে দলীয় নেতা-কর্মিএবং সাধারণ ভোটারদেরও।
কমিশন নির্ধারিত নির্বাচনী ব্যয় ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা রেজাউল করিম এবং শাহাদাত হোসেন ৮/১০ জনের কাছ থেকে নেয়ার বিষয় হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ব্যয় সংগ্রহে তাদের আরো অনেক বেশি প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য দলীয় তহবিল থেকে প্রার্থিদের
তেমন অর্থ সরবরাহের কোন রীতি নেই। প্রার্থিকেই যোগাড় করতে হয় প্রয়োজনীয় অর্থ।
রেজাউল করিমের কাছের সূত্রগুলো বলছে, দলের বিত্তবান নেতা-কর্মীরা তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএনপির মধ্যে অর্থের যোগান দিতে পারবেন এই ধরনের ব্যক্তির সংখ্যা কম। ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিভিন্নভাবে । তা ছাড়া অবস্থা সম্পন্ন দলের সমর্থক- শুভার্থিরা কিছু অর্থের যোগান দিতে পারেন। পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, এবার নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি তেমন দেখা নাও যেতে পারে