Home Third Lead মধুমেলা কাল থেকে, বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আমেজ

মধুমেলা কাল থেকে, বাড়িতে বাড়িতে উৎসবের আমেজ

ছবি সংগৃহীত

মধুপল্লীসহ মেলা প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে দর্শনার্থীরা। মধুমেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মেলা নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকায়। মধুমেলা উপভোগ করার জন্য ইতিমধ্যে সাগরদাঁড়িসহ চারপাশের গ্রামগুলোতে আত্মীয়-স্বজন আসতে শুরু করেছে। অনেকেই মেয়ে-জামাই, বন্ধু-বান্ধবসহ অতিথিদের দাওয়াতও দিয়েছেন। প্রত্যেকটি বাড়িতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এবারের মেলায় লাখ দর্শনার্থী ও মধুপ্রেমীদের সমাগম ঘটবে।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে আগামীকাল ২৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন এই মেলার আয়োজন করেছে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে মেলা। এ উপলক্ষে সাগরদাঁড়িকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। কপোতাক্ষ নদ পাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মধুভক্তের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠবে মেলা প্রাঙ্গণ- এই প্রত্যাশা আয়োজকদের।

কবির জন্মভূমির স্মৃতিবিজড়িত কপোতাক্ষ নদের পাড়, জমিদার বাড়ির আম্রকানন, বিদায় ঘাট, মধুপল্লীসহ মেলা প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে দর্শনার্থীরা। মধুমেলা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মেলা নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এলাকায়। মধুমেলা উপভোগ করার জন্য ইতিমধ্যে সাগরদাঁড়িসহ চারপাশের গ্রামগুলোতে আত্মীয়-স্বজন আসতে শুরু করেছে। অনেকেই মেয়ে-জামাই, বন্ধু-বান্ধবসহ অতিথিদের দাওয়াতও দিয়েছেন। প্রত্যেকটি বাড়িতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এবারের মেলায় লাখ দর্শনার্থী ও মধুপ্রেমীদের সমাগম ঘটবে।

মহাকবি মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের পাড়ে সাগরদাঁড়ি গ্রামে বিখ্যাত দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ছিলেন তিনি। বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এই ধীমান কবিকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে।

মদুসূদন দত্তের কালজয়ী রচনাবলীর অন্যতম হলো মেঘনাদবধ কাব্য,দ্য ক্যাপটিভ লেডী,শর্মিষ্ঠা,ক্যাপটিভ লেডী, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, বুড়ো শালিকের ঘাঁড়ে রোঁ,পদ্মাবতী,ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরাঙ্গণা কাব্য,হেক্টরবধ,চতুর্দশপদী কবিতাবলী।এ মহাকবির জন্মের কারণেই যশোরের সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ নদ জগৎবিখ্যাত।

কালের প্রবাহে কপোতাক্ষ নদের যৌবন বিলীন হলেও মাইকেলের কবিতার কপোতাক্ষ নদ যুগে যুগে বয়ে চলেছে। ১৮৭৩ সালে ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ মহাকবি।কলকাতায় তাকে সমাধিত করা হয়।