একান্ত আলাপচারিতায় মহানগর আ’লীগ সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। দশম শ্রেনী থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত। বার বার দলীয় মনোয়ন চেয়ে ব্যর্থ হলেও দল ত্যাগ করেননি।দলের দুঃসময়ে সক্রিয় ছিলেন এই ত্যাগী নেতা।
হালিশহরের বাসভবনে বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বললেন, আ জ ম নাছির মূলধারার রাজনীতিবিদ, `তাই তাকে সমর্থন করি আমি মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে রাজনীতি করেছি। এখনো মহিউদ্দিন চৌধুরীর চিন্তাধারা ও মতাদর্শের রাজনীতি করি। তবে, আ জ ম নাছিরের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা আছে। থাকবে না কেন? উনিতো আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করার পেছনে আমার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। আমরা বিশ্বাস করতাম আ জ ম নাছিরের শক্তি এবং মহিউদ্দিন চৌধুরীর শক্তি একত্রিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। তাই আমি নাছিরের জন্য তদবির করতে সভানেত্রীর কাছে চার বার গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর আ জ ম নাছির সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সভানেত্রীর যে ব্যাপক প্রত্যাশা ছিল তার প্রতি, তিনি কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন তা আমি বলতে পারছি না। উনি তো বাকশাল করেননি। রাজনীতিতে ঈমান ঠিক রাখতে হবে, ঠিক না থাকলে সমস্যা। আমি যদি সংগঠনকে ভালোবাসি তাহলে আমাকে একটা নেতৃত্ব ঠিক করে নিতে হবে আমি আন্দাজে যে কাউকে তো নেতা মানতে পারিনা।
একান্ত আলাপচারিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী তার রাজনীতিতে আসা, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে এ পর্যন্ত নানা বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
আমার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম পৌরসভার উত্তর গুথুমা গ্রামে। ১৯৬২ সালে আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে ছিলাম তখন শিক্ষা আন্দোলন দেখে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা জন্ম নেয়। তবে সে সময় আমি কোন ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না। প্রাইমারি স্কুলে থাকা অবস্থায় আমার বাসায় তিনটা দৈনিক পত্রিকা ছিল( দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পূর্বদেশ এবং দৈনিক জনতা)। পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট, ইত্তেফাকের কঁচি কাচার মেলা এবং জনতা পত্রিকায় সোনালী দিনের আসরে শিশুতোষ অংশে আমি লিখতাম।পঞ্চম শ্রেণীতে থাকাকালীন অবস্থায় লেখালেখি শুরু করি। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের সময় ফেনী কলেজ থেকে আমাদের হাই স্কুলে বিভিন্ন ছাত্র নেতারা আসতেন এবং ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিচ দিতেন।
ফেনী কলেজের আনিসুল হক আমাদের স্কুলে এসে ছাত্রদের সাথে নিয়ে সভা-সমাবেশ করতো এবং তাদেরকে মোটিভেট করত। ছাত্র অবস্থায় আমি বুঝি আমাদের চারপাশে ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পশ্চিম পাকিস্তানিরা কিভাবে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে শোষণ করে এগুলো পরিলক্ষিত করি।
আমাদের এলাকায় নদীতে বাঁধ সংরক্ষণ নিয়ে ভারতের বিএসএফ এবং আমাদের ইপিআরের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সেদিন রাত্রে ঐ নদীর তীরে যায়। দেশের প্রতি যে মমত্ববোধ সেটি দেখে আমার রাজনীতি শেখার এবং রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা পোষণ হয়।
আমি পত্রিকার মাধ্যমে মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সম্পর্কে জানতাম। পত্রিকায় দেখতাম শেখ মুজিবকে বারবার গ্রেফতার করা হয়। তখন স্বাভাবিক কারণে আমার মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি একটা আকর্ষণের সৃষ্টি হয়। সে আকর্ষণের প্রেক্ষিতেই আমার মধ্যে ছাত্রলীগের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়।
পত্রিকা গুলো শুধু নেতাদের হাইলাইট করে
১৯৬৫-৬৬ সালের দিকে দশম শ্রেণী থাকা অবস্থায় আমি চট্টগ্রামে আসি। এসএসসি পরীক্ষা না দিয়েই ‘মাধ্যমিক ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের’ যুক্ত হই। তখন একটি সভায় আব্দুর রউফ আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বলে। ওই দিনই আমার জীবনের প্রথম বক্তৃতা দেওয়া। তার পরদিন পত্রিকায় দেখি আব্দুর রউফ এর নামের আগে আমার নাম দেওয়া। তখনকার সময়ে এভাবেই পত্রিকাগুলো নতুন নেতা তৈরি করতে ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু এখন পত্রিকা গুলো শুধু নেতাদের হাইলাইট করে।
ফরম পূরণ ছাড়াই ছাত্রলীগে যোগদান করি। তারপর সিটি কলেজে ভর্তি হই। তখন কলেজে ছাত্র সংগঠন করার সুযোগ ছিলনা। চিটাগাং কলেজের ছিল ‘যাত্রিক’, সিটি কলেজে ‘অভিযাত্রিক’ এবং কমার্স কলেজে মশাল। তখন এভাবে ছদ্মনামে ছাত্রলীগের সংগঠনগুলো চলতো। ১৯৬৭ সালে আমাকে সিটি কলেজে সদস্য করা হয়। পরবর্তীতে (১৯৬৭-৬৮) শহর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক করা হয়। সেই প্রথম ছাত্রলীগের কোনো পদ পাওয়া। তারপর থেকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলাম।
দপ্তর সম্পাদক থাকা অবস্থায় প্রত্যেকটি কলেজ ও ইউনিভারসিটিতে আমার যাতায়াত ছিল। ছাত্র নেতাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। (১৯৬৮-৬৯) যখন ছাত্রলীগের কমিটি করার প্রশ্ন আসলো তখন আমাকে সদস্য করার কথা ছিলো। কিন্তু বিভিন্ন কারণে করা হয়নি। পরে জয়েন্ট কনভেনার করা হয়।
আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ পাই। (১৯৬৭-৬৮) চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সদস্য(১৯৭০-৭২),চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি (১৯৭৪ ও ১৯৭৯), বাংলাদেশ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (১৯৭৯-৮৬), নগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক(১৯৮২), চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক (১৯৯১,১৯৯৬), নগর আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি (২০০৬,২০১৩-চলমান) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য (২০২০)। ‘চৌদ্দশ সাল’ বাস্তবায়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলাম।
১৯৭০ সালের আগষ্ট মাসে আমরা বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘ছাত্রলীগকে সব সময় আওয়ামী লীগ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে। ছাত্রলীগের উপর আমি অত্যন্ত আস্থাশীল। ছাত্রলীগ কখনো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি করবে না।’
সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার নেতৃত্বে হোক বা যার নেতৃত্বে হোক বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তাহলে আমারা মানচিত্র বিবর্তনের আন্দোলনের দিকে যাবো। এরপর নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি। বঙ্গবন্ধু এমপিদের নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে মিটিং করেছিলেন এবং সেই মিটিং-এ তিনি বাঁশের লাঠির কথা বলেছিলেন যাতে আওয়ামী লীগের কোনো এমপি বেইমানি করতে না পারে।
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ঘোষণার পর আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করেছিলাম এবং ছয় দফার বিষয়গুলো সবাইকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলাম।
আমরা যখন কর্মী সমাবেশ করতাম তখন সমাবেশে আসা কর্মীদের থেকে প্রশ্ন আহবান করতাম। কেন্দ্রীয় নেতারা থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা করার জন্য কর্মীসভা করত।
ট্রেনিং ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি
কোনো প্রকার ট্রেনিং ছাড়াই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। অস্ত্র কিভাবে চালায় তাও জানতাম না। নিউমার্কেট এলাকায় রেষ্টহাউসে আমাদের অফিস ছিল। সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামানোর কথা হচ্ছিল তখন ছাত্র-শ্রমিক সবাই এটার প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণ থেকে ঐ জাহাজের শ্রমিকদের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেক শ্রমিক সেখানে মারা গিয়েছিল। কতজন শ্রমিক মারা গিয়েছিল সেই রিপোর্ট এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়নি।
আমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে নিউজ তৈরি করতাম। বেতার কেন্দ্রের কাজ শেষ করে আমি পরিবার নিয়ে বাড়িতে চলে যাই। চৌদ্দগ্রাম বর্ডারে গিয়ে আমরা অবস্থান নিলাম। এরপর আমি আগরতলা চলে গেলাম। সেখান থেকে উদয়পুরে যাই । তারপর চট্টগ্রাম এসে মৌলভী সৈয়দ এর সাথে দেখা করি। কাজি টেক্সটাইলে যোগদান করি।
বিএলএফ এর ৯৫ শতাংশ ছাত্রলীগ থেকে আসা। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ- এর সক্রিয় গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে ১ নং সেক্টরের চট্টগ্রাম শহর অঞ্চলের অংশগ্রহণ করি।
চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের অফিসে প্রথম টেলিফোন আমার নামে। যুদ্ধের পরেও কিছু উৎসাহী কর্মী জায়গা দখল করে পার্টি অফিস বা বিভিন্ন রকম অফিস করতে চায় আমি তাদের বিরোধিতা করি। ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারি মুসলিম হলে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি সভাপতিত্ব করি এবং সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। আমি সেখানে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম সমস্ত এমপিদের এবং সরকারের উচ্চপদস্থ আমলাদের সম্পদের হিসাব জনগণের কাছে প্রকাশ করতে।
দেশ স্বাধীনের পর মানুষের মাঝে লোভ-লালসার সৃষ্টি হয়
দেশ স্বাধীনের পর মানুষের ভেতরে প্রাপ্তি -প্রত্যাশা বেড়ে যায়। মানুষের মাঝে লোভ-লালসার সৃষ্টি হয়। ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ একসময় নিয়ন্ত্রণ করতো বিহারীরা। সেখানে বেশির ভাগ কর্মচারী ছিল বাঙালি। তখন সেগুলো দখল করার চিন্তা-ভাবনা শুরু করে তাঁরা।
আমি ১৯৭২ সালে, ৪৪০ টাকা বেতনে চিটাগং কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘সংযোগ কর্মকর্তা’ হিসেবে যোগদান করি। বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার কারণে ছয় মাস পরে আমার চাকরি চলে যায়। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমার এভাবে চাকরি চলে যাওয়া আমি মানতে পারেনি। আমার পক্ষে চট্টগ্রামের ১২৩ জন ছাত্রনেতা একযোগে বিবৃতি দিয়েছে। আমাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য আক্তারুজ্জামান বাবু অনুরোধ করেছেন।
১৯৮২ সালে আমি কর্ণফুলী পেপার মিলে যোগদান করি। মাঝে ৬ মাসের জন্য টিএসপিতে বদলি করা হয়। অতিরিক্ত প্রধান ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) বিসিআইসি ,২০০২ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিএনপি জোট সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণ করতে হয়।
অনেকে বলে বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে কোনো আন্দোলনই হয়নি। কিন্তু চট্টগ্রামে আন্দোলন হয়েছে।
মহিউদ্দিনের সাথে সম্পর্ক
১৯৬৭ সাল থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে আমার সম্পর্ক শুরু। আমি উনার সমালোচনা করতাম তাও সামনা সামনি। পিছনে না। দুষ্টামি করে বললাম আপনি সালামকে সিডিএ চেয়ারম্যান বানাতে পারেন, বিএসসিকে এমপি বানাতে পারেন আমাকে চোখে দেখেন না।
এমইএস কলেজ আগে উর্দু কলেজ ছিল। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে মহিউদ্দিন চৌধুরী পরোক্ষভাবে থাকলও, প্রত্যক্ষভাবে আমি ছিলাম। শহীদ মিনার আমি উদ্বোধন করেছিলাম। কাপ্তাই ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করেছিলাম।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকা অবস্থায় ফেনী-১ আসন থেকে (১৯৭৯, ১৯৮৬ ও ১৯৯১) নমিনেশন চেয়েছিলাম। কিন্তু পাইনি।
বর্তমান নির্বাচন ধনাঢ্য ব্যক্তি ছাড়া সাধারণ মানুষ করতে পারে না। তারা নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে। সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনকার নির্বাচনে নির্বাচনের চেয়ে মনোনয়নই প্রাধান্য পাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী তখনও তিনি ছাত্র নেতাদের সাথে অঞ্চলে গিয়ে দেখা করতেন, তাদের সাথে মিটিং করত। আমাদের কে কি সুন্দর করে চিঠি লিখত। ‘প্রাইম মিনিস্টার লাইক টু মিট ইউ’
সংগঠনের পদ পদবী মুখ্য বিষয় নয়
ভবিষ্যতে রাজনীতি ব্যবসা হিসেবে থাকবে না। আস্তে আস্তে রাজনীতি মেরুকরণে অবশ্যই ফিরে আসবে। এখন বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতি না করার মানসিকতা পোষণ করে। সংগঠনের পদ পদবী মুখ্য বিষয় নয়। কাজ করতে চাইলে যেকোন পদে থেকে কাজ করা যায়। পদ পদবীর জন্য রাজনীতি করি নাই।
আমি মনে করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোন পদ-পদবী না পেলেও উপদেষ্টামণ্ডলীতে অবস্থান পাওয়ার যোগ্যতা রাখি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক দল ও দেশের জন্য যেকোনো দায়িত্ব দিলে তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবো।
রাজনৈতিক বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি খুব দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। আর সোনার মানুষ ছাড়া সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। সোনার মানুষগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাদেরকে কালেক্ট করতে হবে। বর্তমান রাজনীতির ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। এখন তো ‘হুজ হুজ বুঝ বুঝ’ রাজনীতি চলছে।
রাজনীতিতে শত্রু থাকতে পারবে না সমালোচক থাকবে
আমাদের পার্টি যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিল। মাহাতাব উদ্দিন তখন নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগের দুর্যোগপূর্ণ সময় মাহাতাব উদ্দিন দলের হাল ধরেছিলেন। দলের কঠিন সময়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতি করতে হলে টাকা পয়সা মুখ্য বিষয় নয়। যদিও এখন টাকা-পয়সার কিছুটা প্রয়োজন আছে। রাজনীতি করতে হলে কোন শত্রু থাকতে পারবে না, সমালোচক থাকবে। এখন যারা রাজনীতি করে তারা শুধু শত্রুই তৈরি করে।
আজীবন সদস্য- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিট, ডায়াবেটিক সমিতি, মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনা এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, চিটাগং মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি।