Home সারাদেশ মাদক কারবারির বউয়ের ঘরে রাতে পুলিশের এএসআই, তারপর যা হয়েছে….

মাদক কারবারির বউয়ের ঘরে রাতে পুলিশের এএসআই, তারপর যা হয়েছে….

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে  সোহেল রানা নামে পুলিশের এক এএসআই মহল্লার লোকজনদের হাতে  বেদম লাঠিপেটা খেয়েছে। মাদক কারবারির স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে।

  মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এক নারীর ঘর থেকে স্থানীয়রা সোহেল রানা নামের ওই এএসআইকে আটক করে। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁকে লাঠিপেটা করা হয়। মারধর করা হয় ওই নারীকেও। এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সোহেল রানা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত।

ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ওই নারী এবং এএসআইকে নানা জেরা করছে। জেরার ফাঁকে ফাঁকে লাঠি দিয়ে পেটানোও হচ্ছে। ওই নারীকে এ সময় বলতে দেখা যায়, ‘প্রচুর মেরেছে, প্রচুর।’ আর এএসআই সোহেল রানাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি কলমা করে বিয়ে করেছি।’

জেরার মুখে তিনি জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়া। সেখানে তাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। এই নারীকে তিনি ‘কলমা করে’ বিয়ে করেছেন। তবে ঘরে উপস্থিত ওই নারীর স্বামী বলতে থাকেন, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদই হয়নি। ওই নারী বলতে থাকেন, স্বামীকে তিনি মুখে মুখে তালাক দিয়েছেন।

জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থল মতিহার থানা এলাকায়। এএসআই সোহেল রানা মতিহার থানায় আছে। বিস্তারিত পরে বলব।’

মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক বলেন, ‘এএসআই সোহেল রানা থানা হেফাজতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।’

তবে ওই নারীর সঙ্গে এএসআইয়ের বিয়ে কিংবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালানোর বিষয়ে ওসি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি জানান, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তাঁর বাড়ি ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। তিনি মাদক মামলায় বছর দেড়েক জেলে ছিলেন। এই সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামী জামিনে বের হলেও তিনি তাঁর বাড়ি আসছিলেন না।

ওসি বলেন, ওই নারীর স্বামী যখন জেলে ছিলেন, তখন এএসআই সোহেল রানা তিনটি অটোরিকশা কেনেন। অটোরিকশাগুলো সোহেল তার পূর্বপরিচিত ওই নারীর তত্ত্বাবধানে রাখেন। ওই নারীর ভাই এবং অন্য চালকেরা অটোরিকশাগুলো চালান। সোহেল রানা মাঝে মাঝে ওই নারীর কাছ থেকে ভাড়ার টাকা নিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি ভাড়ার টাকা আনতে গিয়েছিলেন। তখন ওই নারীর স্বামী স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আসলেই কী ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি।