নয়ন দাস
কুড়িগ্রাম: জেলার উলিপুরে উপজেলা হাতিয়া ইউনিয়নের মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) মানবতার ফেরিওয়ালা নামে পরিচিত।
মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) ৫৬ বছর ছুঁই ছুঁই। প্রবাস ফেরত। এলাকায় তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। করোনাকালীন বাড়িতে নিজের পরিবার সংসার নিয়ে ব্যতিব্যস্ত না হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি।
মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) করোনা কালীন সময়ে রাস্তায়, পাড়ায়, মহল্লার মানুষদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন করা, মাক্স বিতরণসহ নানা রকম মানব সেবামূলক কাজে হাতিয়া ইউনিয়নে রয়েছে তার অনেক উদাহরণ।
মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে পূনরায় (বর্ষাকালে দিয়েছেন বার্বিশ) চলমান কার্যক্রমে করেছে মাটি ভরাট। আর বর্ষা-বাদলে যে সকল কাঁচা রাস্তাগুলি কাদাজনিত কারণে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে মর্মে পূর্বের ন্যায় নিজ অর্থায়নে আবারো নতুন করে রাস্তায় রাস্তায় মাটি ভরাট করছেন নিজে উপস্থিত থেকে।
তার সাথে প্রতিদিন এই চলমান কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা, সাংবাদিক আল-এনায়েত করিম (রনি) ১ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাতিয়া ইউনিয়ন শাখা।মো. উমর ফারুক আকন্দ(বিএসসি) সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন শাখা।মো. শফিকুল ইসলাম (ইউপি সদস্য) ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ-সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাতিয়া ইউনিয়ন শাখা। বিজনেসটুডের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি, নয়ন দাস প্রমুখ।
তিনি নিজের অর্থায়নে এসব করে থাকেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতেও তিনি দুঃস্থ অসহায় মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
পৌষের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে দুস্থ শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন,কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন ১১ নং হাতিয়া ইউনিয়নের সমাজসেবক মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া)। প্রতিদিনের মতো নতুন বছরের প্রথম দিনও গভীর রাতে দুস্থ শীতার্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তিনি কম্বল বিতরণ করেন। এসময় তিনি অনেক বৃদ্ধজনের শরীরে নিজ পিতা-মাতার মতো পরম যত্নে কম্বল জড়িয়ে দেন।
কনকনে শীতের গভীর রাতে কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলে কম্বল হাতে আ. মালেক মন্ডলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শীতার্ত মানুষ এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এছাড়া, কোথাও কোনো অভুক্ত-অসুস্থ মানুষ থাকলে সে সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। নিজের সাধ্য মতো তাদের সহায়তা করেন।
হাতিয়া ইউনিয়নের চর গুজিমারির মজিদ মিয়া বলেন, মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) ভালো মানুষ। তিনি গ্রামের যুবকদের ভালো কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি সবাইকে নিয়ে সমাজের ভালো করে যাচ্ছেন।
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ইউনিয়ন এর মানুষের পাশে নিজের অর্থ দিয়ে গরিব-দুঃখিদের পিছনে তা সমাজের কাজে খরচ করছেন বলেও জানান। মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া) ‘আমার স্বপ্ন আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি। তাদের কষ্ট লাঘবে নিজেকে যেন বিলিয়ে দিতে পারি। তিনি আরো বলেন,আমি সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। চলমান আমার নিজ অর্থায়নে সর্বপ্রকার এ কল্যাণমুখি উন্নয়নের ধরা আরো বেশি বেশি করে অব্যাহত রাখতে ২০২১ ইং কে সামনে রেখে আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে অত্র ইউনিয়নের ৪৪ টি গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ও ঘরে ঘরে সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে ভালো-মন্দ খোজ খবর নিতে সর্বস্তরের অবহেলিত মানুষের সুখ-দুঃখগুলো ভাগাভাগি করতে চাই ইনশা আল্লাহ্।
জনসেবার কাজে পরিবারের লোকজন তাকে সবসময় সহায়তা করেন বলেও জানান স্থানীয়ভাবে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত মো. শায়খুল ইসলাম (নয়া)।