Home আন্তর্জাতিক মারাকানা জয় করুক মেসিই

মারাকানা জয় করুক মেসিই

ছবি সংগৃহীত

সঞ্জয় সেন

ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচে আগাম কিছু বলা যায় না, যে কেউই জিততে পারে। এই ম্যাচে আগে থেকে বলে কিছু হয় না, কারণ ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। প্রায় একই ঘরানার দুটি দল খেলবে, তাদের ব্যক্তিগত নৈপুন্যতার থেকেও নির্ভর করবে কে কতটা দিতে পারছে ম্যাচের দিন।

রবিবার ভোরের এই ম্যাচ আমাদের অনেকের কাছে আবেগের একটি মাহেন্দ্রক্ষণ হতে চলেছে। কারণ লিওনেল মেসির মতো তারকা যিনি ফুটবল সাম্রাজের একমেবদ্বিতীয়ম অধীশ্বর, তিনি এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। এটা একটি ঐতিহাসিক ট্র্যাজিক গল্প যাতে না হয়ে থাকে, সেইজন্য আমার মতো অনেকেই চাইবে মেসির হাতে অন্তত কোপা কাপটা ওঠে।

মেসি ফুটবলার হিসেবে সব পেয়েছে, এটা বলার সময় আসেনি। জানি না ২০২২ সালে কাতারে কী হবে, সে যাই হোক না কেন, এবারের কোপা আমেরিকা যদি আর্জেন্টিনা না জিততে পারে, তা হলে চরম হতশ্রী বিষয় হবে। কারণ পুরো টুর্নামেন্টে মেসি দারুণ ফর্মে বিরাজ করছে। চারটি গোল ও পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছে। হয়তো আর্জেন্টিনা দল বড় বেশি মেসি নির্ভর, তবুও বলবো, লিওনেল স্কালোনির দল ভাল খেলেছে চলতি আসরে।

ফাইনাল ম্যাচেও মেসি জ্বলে উঠবেন, বলাই যায়। তার থেকেও বড় বিষয়, মেসি শুরু থেকেই এই ট্রফিটা জিততে মরিয়া হয়ে রয়েছেন, তাই আমি মনে করি না তিরে এসে তরী ডুববে। নেমার ছোট বয়সে মেসির থেকে, নেমারের কাছে আবারও সুযোগ আসবে কোপা খেলার। কিন্তু মেসির এটাই শেষ কোপার আসর হতে চলেছে। এখনই ৩৪, তাই জীবনের সায়াহ্নে এসে একটা ট্রফি না জিততে পারলে করুণ আবহ তৈরি হবে। আমার মতো কোচ কিংবা প্রাক্তন ফুটবলার যাই বলুন নাম কেন, মেসির অন্তত কোপা চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজের নামে অপবাদটা ঘোচান। কারণ মেসিরা ফুটবলে কালেভদ্রে  আসে, তারা এই খেলার দূত হিসেবে বিরাজমান, তাই তাঁদের নামে পাশে ভাল একটা বিজ্ঞাপন থাকুক।

রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার ইতিহাস ভাল নয়। তারা শেষ ২০১৪ সালের ফাইনাল ম্যাচও হেরেছিল এই মাঠে। তাই আমার কাছে এই ম্যাচ আর্জেন্টিনার কাছে ইতিহাসের চাকা ঘোরানোর। ইতিহাস তো তৈরিই হয় ভাঙার জন্য, আমার মন বলছে মেসির হাতে কাপ উঠবে, এইভাবেই মারাকানায় রচিত হবে নয়া অধ্যায়। আর ফুটবলের এক বড় সাধকের ফুটবল জীবনের বৃত্তও সম্পূর্ণ হবে।

(লেখক মোহনবাগানের প্রাক্তন আই লিগ জয়ী কোচ)