মায়ের মৃতদেহ ফ্রিজে পুরে রাখলেন মেয়ে। তাও আবার কয়েক দিন বা মাস নয়, টানা দশ বছর!
জাপানের রাজধানী টোকিওর বুকে এই ঘটনার সন্ধান মিলেছে। ইউমি ইয়োসিনহো নামের এক মহিলা দশ বছর ধরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছেন তাঁর মায়ের দেহ। মৃতদেহটি অবিকৃত ভাবে রয়ে গেছে তেমনটাই। কেউ টের পায়নি, মারা গেছেন ওই মহিলার মা।
জানা গিয়েছে, মহিলা এবং তাঁর মা টোকিওয় যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন, সেটি মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে। মায়ের নামেই সরকারের থেকে লিজ নেওয়া ছিল। এ জন্য প্রতি মাসে ভাড়াও গুনতে হত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে ওই বাড়ির ভাড়া জমা পড়েনি। শেষমেশ এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাড়ি ছাড়তে বলা হয় তাঁদের। বাড়ি খালি করে চলে যান ইউমি।
এর পরে ওই অ্যাপার্টমেন্ট সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়। তখনই ফ্রিজ খুলে উদ্ধার হয় মৃতদেহ! জানা যায়, দেহটি ইউমির মায়ের। পুলিশে খবর দিলে শুরু হয় তদন্ত। ইউমিকে জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসে অদ্ভুত তথ্য।
ইউমি পুলিশের কাছে ভেঙে পড়া জানান, দশ বছর আগেই তাঁর মা মারা গেছিলেন। কিন্তু যেহেতু বাড়িটি মায়ের নামে লিজ নেওয়া ছিল, তাই মৃত্যুর কথা জানাজানি হলে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হতো তাঁকে। এই ভয়েই তিনি কাউকে কিছুই জানাননি। এমন ভাবে থাকতেন, যেন মা বাড়িতেই রয়েছেন। দেহ পচে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়, সেজন্য সেটি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পরীক্ষা করে জানা গেছে, ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন ওই মহিলা। এখন ইউমির বয়স ৪৮। অর্থাত তিনি যখন ৩৮ বছর বয়সের তরুণী ছিলেন, তখনই তাঁর মা মারা যান এবং সেই থেকে মাকে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন তিনি! তবে ইউমির মায়ের মৃত্যুর কারণ কী ছিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু বুঝতে পারেনি পুলিশ। খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।
-বিবিসি