বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে বড় ধরনের স্বস্তি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত বছরের ২৭ অক্টোবর, অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরের সময় সল্টলেকের প্রেক্ষাগৃহে মিঠুন চক্রবর্তী যে বিতর্কিত ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে গত কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল।
হিন্দুদের নিয়ে মন্তব্য এবং শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এবং বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তবে এই বিতর্কের পর, ২০২৫ সালের মার্চে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি ছিল, যেখানে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীর পক্ষে রক্ষাকবচ প্রদান করেছেন। বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। এর মাধ্যমে মিঠুন চক্রবর্তী কিছুটা হলেও নিরাপদ হলেন।
মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যের মধ্যে ছিল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ। তিনি বলেছিলেন, “এখানকার এক নেতা বলেছিলেন, হিন্দুদের কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলবেন, বলেননি। কিন্তু আমি বলছি, তোমাকে তোমার মাটিতেই পুঁতে দেব।” এই মন্তব্যকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় এবং তাকে নিয়ে নানা রাজনৈতিক মহলে নিন্দা ওঠে।
মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপের ব্যাপারে হাই কোর্টের রায় তার বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নিষেধ করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় মিঠুন চক্রবর্তীর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মামলা দায়ের হয়েছিল, যেমন ছবির সংলাপ নিয়ে বিতর্ক। তবে বিচারপতির সুরক্ষা প্রদানের পর, মিঠুনের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত এক বড় ধরনের স্বস্তি।
দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেমিঠুন চক্রবর্তীর রাজনৈতিক জীবন। তিনি একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে তিনি বিজেপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। এর মধ্যে তার বিতর্কিত মন্তব্য এবং জনসমক্ষে তার ভাষা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পর তার বিরুদ্ধে কোনো পুলিশি পদক্ষেপ আপাতত বন্ধ থাকবে।