কিয়েভ: ইউক্রেন জানাল যে মিসাইলেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ওই বিমান।
একদিকে সেই রাতে ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে ইরান। আর তার কিছুক্ষণ পরই ইরানের আকাশে ধ্বংস হয়ে যায় একটি আস্ত বিমান। মাঝ আকাশ থেকেই আগুনে জ্বলতে জ্বলতে মাটিতে পড়ে সেই বিমান। ঘটনাস্থলেই ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়।
মিসাইল নিক্ষেপ আর বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে সময়ের ফারাক বিশেষ ছিল না। তাই সন্দেহ ছিল প্রথম থেকেই। নিছক দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এর মধ্যে ইউক্রেন জানাল যে রাশিয়ার তৈরি মিসাইলেই নাকি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ওই বিমান। তেহরান থেকে কিয়েভের দিকে উড়ে যাচ্ছিল এই বিমান। বিমানটি মাত্র তিন বছরের পুরনো বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেই সব পরীক্ষা-নিরিক্ষা হয়েছিল। তাই, যান্ত্রিক ত্রুটির তত্ত্ব মানতে নারাজ অনেকেই।
এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের ওই বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগুন ধরেছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য চারটি কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে বিধ্বস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ‘বোয়িং’ কিংবা আমেরিকাকে না দেওয়ার কথা জানিয়েছে ইরান। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। তবে বলা হয়েছে, ইউক্রেন চাইলে এই তদন্তে উপস্থিত থাকতে পারে।
তেহরানের ইমাম খোমেনেই বিমানবন্দরের কাছেই এই ঘটনা ঘটে। মাঝ আকাশেই আগুন ধরে যায় ওই বিমানে। ফলে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এত ভয়াবহ আগুন ধরে যায় যে, ২২টি অ্যাম্বুলেন্স, চারটি বাস নিয়ে গিয়েও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বিজনেসটুসে২৪ ডেস্ক