Home আন্তর্জাতিক মুশারফের মৃতদেহ রাস্তার ধারে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ পাকিস্তানের কোর্টের

মুশারফের মৃতদেহ রাস্তার ধারে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ পাকিস্তানের কোর্টের

দেশদ্রোহিতার দায়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন একনায়ক পারভেজ মুশারফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের কোর্ট। মুশারফ এখন দেশে নেই। ৭৬ বছর বয়সী প্রাক্তন একনায়ক চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন দুবাইয়ে। বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ওঠে, ফাঁসি দেওয়ার আগেই যদি মুশারফের মৃত্যু হয়, তা হলে কী হবে? তখনই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে তাঁর মৃতদেহটি টেনে আনতে হবে ইসলামাবাদের ডি চৌকে। সেখানে তিনদিন ধরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

ডি চৌক জায়গাটি সংসদ ভবনের ঠিক উল্টোদিকে। পাকিস্তানের আইন বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই বলেছেন, আদালতের এই নির্দেশ সংবিধান বিরোধী। এর আগে একবারই পাকিস্তানে এই ধরনের রায় দেওয়া হয়েছিল। এক কুখ্যাত খুনি সম্পর্কে বিচারক রায় দিয়েছিলেন, প্রকাশ্যে তাকে ফাঁসি দিতে হবে। সে যাদের খুন করেছে, তাদের পরিবারের লোকজনের সামনে দেহটি কেটে ১০০ টুকরো করতে হবে। যদিও সেই দণ্ডাদেশ কখনও কার্যকর করা হয়নি।

১৯৯৯ সালে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুশারফ ক্ষমতায় আসেন। ২০০৭ সালে তিনি সংবিধানকে ‘সাসপেন্ড’ করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। তার বিরুদ্ধে নানা মহল থেকে প্রতিবাদ হয়। ২০০৮ সালে ইমপিচমেন্টের ভয়ে মুশারফ নিজেই ক্ষমতা ছেড়ে সরে দাঁড়ান। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালু করেন নওয়াজ শরিফ। সেই মামলায় গত মঙ্গলবার প্রাক্তন সেনাপ্রধানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মুশারফ যাই করে থাকুন, তিনি যে দেশপ্রেমিক সেকথা অস্বীকার করা যায় না। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মেটাতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেন, সরকারের কৌঁসুলিরা ওই রায়ের মধ্যে অনেক ‘ফাঁক’ খুঁজে পেয়েছেন। মুশারফের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন। সরকারি সূত্রের খবর, তারাও সেই আবেদনের বিরোধিতা করবে না।

Translate »