বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের অসহায়ত্বকে নিয়ে দ্বিগুণ বা বেশি দামে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছে হাসপাতালের ভিতরের দোকানগুলো। কর্তৃপক্ষ এদেরকে দোকান করার অনুমতি দিয়েই যেন দায়িত্ব শেষ করেছে।
অবস্থাটা কি? চেট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ ইউনিটের ভিডিওসহ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তা সবিস্তারে রয়েছে। স্ট্যাটাসে জানানো হয়, হাসপাতালের রোগী দু’জন বেওয়ারিশ মানুষের জন্য মানবিক পুলিশ কমোড চেয়ার কিনতে যান সীমানার ভিতরে অবস্থিত দোকানে। মানবিক পুলিশ ইউনিটের প্রতিনিধি পরিচয় দেয়ার পর প্রতিটির দাম চাওয়া হয় ১২০০ টাকা। দু’টির দাম ২৪০০ টাকা। বলা হয় পুলিশ পরিচয় পাওয়ার কারণে এই দাম, নতুবা আরও বেশি। অথচ সেই চেয়ারের প্রতিটির দাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। মানবিক পুলিশ ইউনিটের শওকত হোসেন লক্ষ্য করেন যে চেয়ারের গায়ে লাগানো স্টিকারে যেখানে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা তা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে প্রত্যেক চেয়ার থেকে। জানতে চাইলে দোকান কর্মি তা মালিক ছিঁড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানায়। মানবিক পুলিশ পরে সেই একই চেয়ার, সঙ্গে বালতিসহ বাইরের দোকান থেকে কিনেছেন ৬০০ টাকা দরে।
মানবিক পুলিশ দোকানটির অনুমোদন বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বলেছে, ডাকাতির সীমাকেও হার মানিয়েছে এই দোকান। এরাই মূলত দেশকে অস্থিতিশীল করতেছে এবং সরকার ও দেশকে বেকায়দায় ফেলতেছে ৷
হাসপাতাল সীমানার মধ্যে অবস্থিত দোকানগুলোর বিরুদ্ধে এভাবে অস্বাভাবিক দাম আদায়ের অভিযোগ সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের। অনুসন্ধানে জানা যায়, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি হন তাদের অধিকাংশ আসেন দূর-দূরান্ত, গ্রাম অঞ্চল থেকে। তাদের সঙ্গে আসা আত্মীয়স্বজনরা জানেন না কোন জিনিস কোথায় পাওয়া যায়, দাম কেমন। তাছাড়া, রোগীদের প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিস দরকার হয় তাৎক্ষণিকভাবে। এটাকে পুঁজি করে অস্বাভাবিক ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন এই দোকান মালিকরা। কোন কোন জিনিসে এভাবে শতভাগ বা আরও বেশি লাভ করে।
রোগীর সাথে আসা স্বজনরা প্রত্যাশা করেন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এদের অনুমোদন বাতিল করে নতুন দোকান বসানোর উদ্যোগ নেবে। আর ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘন ঘন অভিযান চালাবে মেডিক্যাল সীমানার ভিতরের এবং আশে পাশের বিভিন্ন দোকানে।
মানবিক পুলিশ ইউনিটের ভিডিও। সৌজন্যে ফেসবুক।
Posted by Showkat Hossain on Friday, June 19, 2020