বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের যে খৎসা প্রথা বিদ্যমান তার বিলুপ্তি চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব জিরো টলারেন্স ফর ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন’ উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনিকেন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, তিন দশক আগের চেয়ে এখন বিশ্বে নারীদের খৎনা দেয়ার সংখ্যা তিন ভাগের এক ভাগ। তবু জাতিসংঘের হিসাব বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে নারীদের খৎনা প্রথা বিলুপ্তির জন্য বিশ্বজুড়ে যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা পূরণে এই প্রথা কমপক্ষে ১০ গুন কমাতে হবে।
মেয়েদের খৎনা প্রথা রয়েছে বিশ্বের কয়েকটি দেশে। আফ্রিকা মহাদেশের ২৭টি দেশসহ ইন্দোনেশিয়া, ইরাকের কুর্দিস্তান, ইয়েমেন-এই দেশগুলোতে নারীদের মুসলমানি একটি ধর্মীয় রীতি হিসেবেই প্রচলিত। আধুনিক বিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার প্রায় শতবর্ষ আগে থেকেই এই রীতি মেনে আসছেন বহু মানুষ। আর সংখ্যাটাও একেবারেই নগণ্য নয়! অনেক সময় বয়ঃসন্ধির সময় এটি করা হয়। ফলে নারীদের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে তাদের সারাজীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়।
ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ২৯টি দেশে ব্যাপকভাবে এই রীতি চালু রয়েছে, যদিও এদের মধ্যে ২৪টি দেশেই এটি নিষিদ্ধ। এমনকি, নারীদের এরকম যৌনাঙ্গ কর্তন বন্ধের আহবান জানিয়ে প্রতিবছর ৬ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ দিবস হিসাবে পালন করে জাতিসংঘ।