Home First Lead মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

  • উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ১৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশংকা
  • চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা:  আবহাওয়া বিভাগের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ৩১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চল ১০ ফুট থেকে ১৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৬ টায়  চট্টগ্রাম থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯০ কিলেমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুপার সাইক্লোন আম্পান।

উত্তর  উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে  সুপার সাইক্লোন সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মোংলা পায়রায় ১০, চট্টগ্রাম কক্সবাজারে নম্বর বিপদ সংকেত

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত  দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ  সংকেতের আওতায় থাকবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার  এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় ও  দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের অমাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালি, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ, ১০থেকে ১৫ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঝড়োহাওয়ার সতর্কতা

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা,খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি,পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় ঝড়োহাওয়া