Home First Lead মোংলায় ৪ হাজার গাড়ি নিলাম বন্ধ রাখার আহ্বান বারভিডার

মোংলায় ৪ হাজার গাড়ি নিলাম বন্ধ রাখার আহ্বান বারভিডার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: মোংলা বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা গাড়ির নিলাম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা গাড়িগুলোর নিলাম স্থগিতকরণ, করোনা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির ফলে সরকারের আর্থিক প্রণোদনার আবেদন এবং বারভিডা লেভি আদায় কার্যক্রমে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির অভিযোগ, আমদানিকারকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়েকশ গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও চার হাজার গাড়ি নিলামে তোলা হবে বলে।

রাজধানীর বিজয়নগরে বারভিডা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সংম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বারভিডার আমদানি করা যেসব গাড়ি বেশি সময় ধরে বন্দরে রক্ষিত আছে সেগুলো সম্প্রতি মোংলা কাস্টম হাউসে অনেক কম মূল্যে নিলামে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারির ফলে দেশের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকার প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা আমাদের জন্য খুব জরুরি। এছাড়াও বারভিডার বিভিন্ন কল্যাণমুখী কার্যক্রম ও সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে যথাযথ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে সংগঠনের আর্থিক সক্ষমতা উন্নয়নে মোংলা বন্দরে চলমান বারভিডা লেভি আদায় কার্যক্রমটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য মহলবিশেষ হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’

আবদুল হক বলেন, ‘মোংলা বন্দরের গাড়ি ধারণক্ষমতা ১০ হাজার, সেখানে আমদানিকারকদের গাড়ি রয়েছে মাত্র ৬ হাজার। এসব গাড়ির মধ্যে কয়েকশ গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও চার হাজার গাড়ি নিলামে তোলা হবে। নিলাম একটি চলমান প্রক্রিয়া, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে নিলাম হলে আমদানিকারকদের জানানো বা যে ছাড় দিয়ে নিলাম ডাকা হচ্ছে সেটা আমদানিকারকদের দিলে তারা বেশি উপকৃত হতো।’

বারভিডা সভাপতি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির সময় এপ্রিল ও মে মাসে ৪০০ শো-রুম বন্ধ থাকায় আমাদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ সরকারের বিশেষ প্রণোদনা থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। ব্যাংকে গেলে আমাদের বলা হয়, “সেবা ও শিল্প খাতে আপনারা নাই তাই ঋণ দেয়া হবে না”। এ অবস্থায় ব্যবসায় ক্ষতি কাটাতে আমাদের এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানাই।’

এই প্রণোদনা দেয়া হলে গাড়ি ব্যবসায়ীরা সরকারকে কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দিতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন বারভিডা সভাপতি।