- কার্যক্রম সচল রাখতে ১১ নির্দেশ
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মোংলা: হঠাৎ করে বন্দর কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। করোনার লক্ষণ নিয়ে ছুটিতে রয়েছেন কয়েকজন। বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ১১টি সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ( হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলীসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। ট্রাফিক শাখার একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন করোনায়।
করোনা আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন: পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন, সচিব ওহিউদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল, সিভিল ও হাইড্রোলিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাবেয়া রউফ, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী ও তড়িৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী উম্মে কুলসুম।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক আমির হোসেন মারা গেছেন।
বন্দরের বেশ ক’জন কর্মকর্তা-কর্মচারি সাধারণ জ্বর, মাথা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রয়েছেন ছুটিতে।
কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১১টি সিদ্ধান্ত কার্যকরের আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশের প্রথম সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে নিরাপত্তা, ট্রাফিক, হারবার, মেডিকেল এবং যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের কাজের পরিধি অনুযায়ী নুন্যতম লোকবল দিয়ে কাজ পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের কাজ কর্ম পালাক্রমে ২৫% লোকবল দিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।
বিভাগীয় প্রধান ডিউটি রোস্টার প্রস্তুত করে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করবেন।
আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেরামত ওরক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে সম্পন্নের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিভাগীয় প্রধানরা পেক্ষাপট বিবেচনা করে উত্থাপিত ও আহূত যে কোন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরিচালনা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য গণপরিবহণের ব্যবহার পরিহার করার জন্য প্রয়োজনে বন্দরে অবস্থিত ডরমেটরী/রেস্ট হাউস অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বন্দরের বিভিন্ন অফিস, জেটি ও আবাসিক এলাকায় প্রবেশের সময় প্রবেশ মুখে স্থাপিত ডিজইনফেকটেন্ট ট্যানেল আবশ্যিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
আবাসিকের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বাসার বর্জ্য বাসভবনের নিচে স্থাপিত ড্রামে রাখতে হবে।
সেগুলো নেয়ার জন্য কেউই ভবনে উঠতে পারবে না। কর্তৃপক্ষের ব্যবহৃত গাড়ীগুলো প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অফিসসমূহ স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের সাথে আর্থিক লেনদেন সম্ভব হলে ক্যাশ/নগদের পরিবর্তে ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদন করা যেতে পারে।