Home জাতীয় লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ ও উন্নত বাস নামানোর দাবি

লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ ও উন্নত বাস নামানোর দাবি

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাজধানীর লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ করে ৫ হাজার উন্নতমানের বাস নামানোর দাবি জানিয়েছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানির অধীনে এসব বাস নামানোর দাবি জানান তিনি।

শনিবার সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে সামিল করার কথা বলেছেন। তাই দেশের প্রবেশদ্বার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর চতুর্থ মেয়াদে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্বরত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী যিনি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার হাতে দীর্ঘদিন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকায় তিনি সড়কে বিশৃংঙ্খলা থামিয়ে স্মাট গণপরিবহন ব্যবস্থা উপহার দেবেন, যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করবেন এমন আশায় দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছে। তাই তিনি, নতুন সরকারের পরিকল্পনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১টি কোম্পানীর অধীনে অথবা পিপিপির অধীনে উন্নতমানের ৫ হাজার নতুন বাস নামানোর দাবী জানান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী নগরবাসী দীর্ঘ সময় ধরে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা আর্বজনায় ভরপুর পরিবহনগুলোতে প্রতিদিন যাতায়াত করছে। যানজট-জনজটে আটকা পড়ে প্রতিদিন কর্মক্ষম মানুষের লাখো কোটি টাকার শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, সিটিং সার্ভিসের নৈরাজ্য, গণপরিবহনগুলোকে মুড়িরটিন বানিয়ে ইচ্ছে মতো যাত্রী হয়রানি চলছে।

 তিনি বলেন, যাত্রী ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের উদ্যেগে চালু হওয়া বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা নগর পরিবহন নামে কয়েকটি রুটে বাস সার্ভিস চালু করা হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে গাবতলী আমিন বাজার পর্যন্ত চালু হওয়া ওয়াটার বাস সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে। নগর পরিবহনে ই-টিকিটিং সার্ভিসও বন্ধ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নগরীর যাত্রী সাধারণ এখন পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ইচ্ছের কাছে জিম্মি। সাধারণমানুষ ইজ্জত ও মর্যাদা নিয়ে এসব পরিবহনে যাতায়াত করতে পারছেনা ।

মহাসচিব আরও বলেন, সরকার বাস মালিক, শ্রমিকের স্বার্থগুলো অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সকল ফোরামে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো রাখা হলেও যাত্রী প্রতিনিধি রাখা হচ্ছেনা। এছাড়াও বর্তমানে সারাদেশে বাস নেটওর্য়াক ভেঙ্গে পড়েছে। ইজিবাইক, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল এখন দেশের প্রধান বাহন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণে দেশব্যাপী স্মার্ট গণপরিবহন পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছোট ছোট যানবাহনের পরিবর্তে উন্নত দেশের আদলে স্মার্ট বাস সার্ভিস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য দাবী জানান তিনি।