Home আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ: স্টিফেন বিগান

যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ: স্টিফেন বিগান

স্টিফেন বিগান

 বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ— বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন ঢাকা সফররত মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান।

তিনি বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিষ্ঠায় তারা এই সহযোগিতা আরও বাড়াতে আগ্রহী। এই অঞ্চলে তাদের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে থাকবে বাংলাদেশ।

সফরের দ্বিতীয় দিনে স্টিফেন বিগান রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন স্টিফেন বিগান।

সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আকর্ষণীয় অংশীদার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বাইরের পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ নিয়ে আগ্রহের কারণ দীর্ঘ সময় ধরে এখানকার স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এখানকার ভোক্তাদের সংখ্যা, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীর উপস্থিতি।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে স্টিফেন বিগান বলেন, “কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। শুধু ওই জনগোষ্ঠীকে সহায়তাই নয়, বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণকে যাতে তার বোঝা টানতে না হয়, সে জন্য সমস্যার উৎসে গিয়ে একটি স্থায়ী সমাধান কীভাবে করা যায়, এই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সংকটে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যা সমাধানের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে।”  এ সমস্যার শুরু থেকেই মিয়ানমারের ওপর যতটা সম্ভব রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার রয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকারের বিষয়ে। তবে এতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন। সব দেশকেই এ সমস্যা সমাধানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

যৌথ ব্রিফিং শেষে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আইনের শাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা, বিনিয়োগ, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফেরত পাঠানো— এসব নিয়ে স্টিফেন বিগানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।