ঢাকা: চলতি অর্থবছরের (অর্থবছর ২৩) জুলাই-জানুয়ারিতে দেশের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের (অর্থবছর২২) তুলনায় ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র সর্বশেষ পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এই সাত মাসে রপ্তানি আয় দাড়িয়েছে মোট ৩২,৪৪৭ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এই জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানি আয়ও ছিল কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৩২,৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অপেক্ষা ০ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। যদিও, একক মাসে রপ্তানি আয় হিসেবে এই জানুয়ারিতে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে, মোট ৫১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪৮৫০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইপিবি’র এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রপ্তানি আয়ের অধিকাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাত থেকে ২৭,৪১৮ দশমিক ০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ১৪.৩১ শতাংশ। আবার এই তৈরি পোশাক খাতের সিংহভাগ ১৪,৯৬০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন বা ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ এসেছে নিটওয়্যার থেকে। এরপরেই রপ্তানি আয়ে অবদান রেখেছে ওভেনওয়্যার। রপ্তানিতে এর অবদান ১২,৪৫৭ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বাসস এর সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)’র পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত কয়েক মাস ধরে তৈরি পোশাক খাত প্রতি মাসে গড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রপ্তানি করে যাচ্ছে। চলতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এ বছর মন্দার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এছাড়াও বৈশ্বিক অর্থনীতি কম প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মুদ্রাস্ফিতির কবলে পড়েছে।
-বাসস