বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৫৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির প্রধান প্রধান দেশগুলোতে করোনার প্রকোপ কমে গেছে। তাতে রপ্তানি আয়ে করোনার ধাক্কা অনেকটাই সামলে উঠেছে বাংলাদেশ। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারঅ তা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম। তা করোনা সংক্রমণের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দেশের যে রপ্তানি আয় ছিল, তার চেয়ে কিছুটা কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
বিদায়ী অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এ সময় নিট পোশাক রপ্তানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তা প্রায় ২২ শতাংশ। এ খাতটিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দেড় শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি এসেছে। গত অর্থবছরের অধিকাংশ সময় ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকলেও শেষ প্রান্তিকে ইতিবাচক ধারায় ফেরে ওভেন গার্মেন্টস। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের বড় খাত কৃষি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতেও সাফল্য এসেছে। এছাড়া হিমায়িত খাদ্য, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হবে এবং ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সেবা খাতে রপ্তানি হবে। এবার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।