জুলহাজ ইব্রাহিম
চট্টগ্রাম: মহামারীকালীন লকডাউনের নেতিবাচক ধকল কাটিয়ে রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি চলছে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী রোডে অবস্থিত আফমি প্লাজা শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ীদের। তবে করোনাকালীন ভিসা জটিলতা পণ্য আমদানিতে বাধ সাধতে পারে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের মতে, নগরীর নামী এই শপিং সেন্টারটি চালু হওয়ার পর থেকে বেশ ভালোভাবেই ক্রেতা সমাগম ও বেচাবিক্রি চললেও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউনের পর থেকে কঠিন সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। তবে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হতে শুরু করায় আগত রমজানের ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা নতুন পণ্য আমদানিসহ নানান প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে ‘ইমরান’স’ এর স্বত্বাধিকারী মডেল ও অভিনেতা ইমরান কৌশিক বলেন, আমরা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা লকডাউনে অর্থনৈতিকভাবে যে ধাক্কাটা খেয়েছি তা কাটিয়ে উঠার জন্য সামনে রমজানের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সামনে রমজান উপলক্ষে আপাতত ১৫ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করছি, ক্রেতাদের চাহিদার অবস্থা দেখে খন্ড খন্ড ভাবে আরো আমদানি করতে পারি। তবে এখানে একটা বিষয় আছে, এইবার ভিসা জটিলতার কারণে অনেকে যথাযথভাবে আমদানি করতে পারছে না আবার অনেকে অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে আমদানি করছে, বিশেষ করে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এভাবে অনলাইনে অর্ডার করে আমদানি করলে পণ্যের কোয়ালিটি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমদানিকৃত পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান থ্রিপিসের জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান ‘আরশী’ এর স্বত্বাধিকারী আশরাফুন্নেছা আফরোজা বলেন, আমরা মানসম্মত পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান থ্রিপিস বিক্রি করি। প্রতিবারের মতো এবারও রমজান উপলক্ষে ডিলারের মাধ্যমে প্রায় ১০ লাখ টাকার পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান থ্রিপিস আমদানি করছি। ঈদের আগে খন্ড খন্ডভাবে আরো হয়তো ৫-১০ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করতে পারি। আশা করছি লকডাউনের কঠিন সময় কাটিয়ে রমজানে ভালো ব্যবসা হবে।
দেশি দশের প্রতিষ্ঠান ‘অঞ্জন’স’ এর ম্যানেজার শাহেদ জানান, গেল দুই মাসে বেচা বিক্রি কিছুটা বেড়েছে, তবে রমজান উপলক্ষে এখনো বিশেষ কোন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পাঞ্জাবি বিক্রির হার বেড়েছিল, সামনের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নতুন পণ্য উঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বিশেষ করে এসব জাতীয় দিবসগুলোতে পাঞ্জাবি বিক্রির হার বাড়ে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ উপলক্ষে রমজানে দেশীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান দেশি দশের সবগুলো দোকানে ব্যাপক ক্রেতাসমাগম ও বেচাবিক্রি বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
এ বিষয়ে মার্কেটের ‘এম এ এস ফ্যাশন’ এর স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল বলেন, রমজান উপলক্ষে এখনো কোন পণ্য পৌঁছে নাই। আমরা ইন্ডিয়া, চীন ও মালয়েশিয়া থেকে শিশুদের পণ্য আমদানি করি। এবার ভিসা জটিলতার কারণে অনলাইনে খন্ড খন্ডভাবে ৫ লাখ, ৭ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করেছি, এসব পণ্য কিছুদিন পরে দেশে এসে পৌঁছাবে।