বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
চলমান উত্তেজনায় রাশিয়ার যে কোনো হামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। মস্কো-কিয়েভ চলমান উত্তেজনা নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এ সময় তুরস্ক ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়ায় প্রসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলাকন রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
সীমান্তে রাশিয়ার যুদ্ধের প্রস্তুতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) কিয়েভে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।
বৈঠকে লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং ইস্তোনিয়া অংশ নেয়। প্রতিবেশী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনায় করণীয় ঠিক করতেই এই বৈঠক। মস্কোর হুমকি মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানায় বাল্টিক দেশগুলো।
এ প্রসঙ্গে দিমিত্রো কুলেবা বলেন, আজকে চার দেশ রাশিয়ার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির তীব্র নিন্দা জানাতে একমত হয়েছে। মস্কো যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি করছে তা মোকাবিলায় সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট সমাধানে আমরা কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। রাশিয়া যদি সামরিক হামলার চেষ্টা করে তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলদোমির জেলেনস্কি। পুতিন প্রশাসনের সামরিক তৎপরতা বন্ধে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল এবং ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট ইমানুলেয় ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার করবেন বলেও জানান তিনি। এ সময় কিয়েভের প্রতি সমর্থন দেয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের প্রশংসা করেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদমির জেলেনস্কি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সেনারা প্রস্তুত। রাশিয়া হুমকি মোকাবিলায় পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আমাদের পাশে আছে।
২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ চলে আসছে। এ বিভিন্ন সময় সামরিক সংঘাতে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৪ হাজারে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
-রয়টার্স