বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট করতে পারবে এবং তা রেমিট্যান্স বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বিদেশি মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সব অথরাইজড ডিলারদের (এডি) ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপন বা প্রবাসী রেমিট্যান্স দেশে আনার চুক্তি করতে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি লাগবে না। ড্রয়িং অ্যারেঞ্জমেন্ট স্থাপনের পর প্রয়োজনীয় তথ্যসহ শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।
এর আগে দেশের কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিদেশি কোনো মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হতো। সেই সঙ্গে ওই দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশন বা হাইকমিশনের কাছ থেকেও বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের বিষয়ে ইতিবাচক সুপারিশপত্র আনতে হতো।
নতুন নিয়মে চুক্তি করার পর বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে। আর বাংলাদেশ মিশনের প্রত্যয়নপত্র ছাড়াও চুক্তি করা যাবে।
করোনা মহামারীর মধ্যে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো থাকলেও গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স কম পাঠিয়েছেন। ওই অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরে আসা রেমিট্যান্সের চেয়ে ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ কম। এ অবস্থায় বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশে আনতে অনেক ব্যাংকের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ রয়েছে। যাদের নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউজ নেই তারা বিদেশি মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়।
এক সময়ে দেশীয় ব্যাংকের মালিকানায় পরিচালিত এক্সচেঞ্জের নিজস্ব প্রতিনিধি বা সাব-এজেন্ট দেওয়ার সুযোগ ছিল। মানি এক্সচেঞ্জের আড়ালে যাতে হুন্ডি বা অবৈধ অর্থের লেনদেন না হয় সে জন্য ২০০৭ সালের এক নীতিমালার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে সুযোগ বন্ধ করে দেয়।
