Home First Lead রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে নতুন রেকর্ড

রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে নতুন রেকর্ড

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড পরিমানে।  এসময়ে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাসে ইতিহাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। অপরদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গত জুন মাসে ১.৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছে সরকার।

আরও বলা হয়, পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ।

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌঁছেছে ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ।

প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের উপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

গত অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। আর তা  ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে যা ১০ দশমিক ৮৫ ভাগ বেশি৷

২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল   ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার ।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ডভাঙা রেমিট্যান্সের কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকিং বিশ্লেষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা এখন বেশ অনিশ্চয়তায় চাকরি নিয়ে। যে কোন সময় ফিরে আসতে হতে পারে। আর তখন কি পরিমাণে নদগ অর্থ নিয়ে আসতে পারবেন সেটাও অনিশ্চিত। এ কারণে প্রবাসে জমানো অর্থ তারা পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া, ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো টাকার ওপর ২ শতাংশ হারে ইনসেন্টিভ সুবিধাও বিদ্যমান। প্রধানত এসব কারণে রেমিট্যান্স আসছে বেশি।