Home First Lead করোনা রোগীর অপেক্ষায় সিএমপি-বিদ্যানন্দ হাসপাতাল

করোনা রোগীর অপেক্ষায় সিএমপি-বিদ্যানন্দ হাসপাতাল

আন্তরিকতা ও ভালবাসার কমতি নেই: জামাল উদ্দিন
‘প্রচারণার অভাবেই রোগী আসছে না ।’

নাজমুল হোসেন

চট্টগ্রাম: করোনা চিকিৎসা পাওয়ার জন্য যখন কোথাও কোথাও হাহাকার চলছে, তখন রোগী সংকটে ভুগছে দ্বিতীয়বারের মত চালু হওয়া ‘সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল’।

চালু হওয়ার ১০ দিন পরও কাঙ্খিত করোনা রোগী আসছে না। প্রচারণার অভাবেই হাসপাতালটিতে রোগী যাচ্ছে না বলে অনুমান কর্তৃপক্ষের।

নগরীর পাহাড়তলি সাগরিকা রোডে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুতল ভবনে ৭০ শয্যার এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় গেল ১৪ এপ্রিল।

হাজার রোগীর চাপে নগরীর সরকারি -বেসরকারি হাসপাতালে পা ফেলার জায়গা নেই, মেঝেতেও স্থান নিচ্ছেন রোগীরা। কিন্তু অনেক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই ফিল্ড হাসপাতালটিতে সক্ষমতার ৫০ শতাংশ রোগীও নেই।

সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালের সমন্বয়ক জামাল উদ্দিন বিজনেসটুডে২৪কে জানান, জনগণের টাকায় পরিচালিত এই হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ বিশেষজ্ঞ ১০ জন চিকিৎসক, আটজন নার্স ও ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা, কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, মেডিক্যাল টেস্ট অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, হাই ফ্লো নেইজল ক্যানুলা কিংবা বিনামূল্যে খাবার সুবিধার পরও ৬০শতাংশ ক্যাপাসিটিতে যেতে পারিনি আমরা। এখনও ৫৫ টি বেড খালি আছে আমাদের। এভাবে অবকাঠামো অব্যবহৃত রয়ে গেছে দেখে দায়িত্বরত ডাক্তারগণ হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা রোগীদের জন্য প্রিমিয়াম সার্ভিস দিচ্ছি। এখানে ২৪ টি রুম আছে। প্রতিটি রুমে ৩ টি করে বেড আছে। আমরা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তাছাড়া আমরা ‘এপিক’ থেকে করোনার  টেষ্ট করাই। আমাদের নিজস্ব ল্যাবও আছে।

একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা হাসপাতালটি সাজিয়েছি। এখানে চিকিৎসা নিতে এক টাকাও গুণতে হবে না। রোগীরা এখানে পুরোপুরি একটা পারিবারিক পরিবেশ পাবে। হাসপাতালটিতে আন্তরিকতা ও ভালবাসার কোন কমতি নেই বলে জানান তিনি।

গেল বছরের ২০ নভেম্বর ওই ভবনে ৫০ শয্যার ‘বিদ্যানন্দ মা ও শিশু হাসপাতাল’ যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় সেই হাসপাতালটিই আবার কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, গেল বছরের জুলাই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় পতেঙ্গায় ১০০ শয্যার সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতাল যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু অর্থসংকট ও স্থানাভাবে ওই বছরের অক্টোবরে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন নতুন হাসপাতাল চালুর জন্য ভবন দিতে সম্মত হয় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়।