বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:বন্দর ব্যবস্থাপনায় জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা কার্যক্রম শেষ করার ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার ‘বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা : ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই দাবি ওঠে। এর আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বিশ্বের ৬৪তম ব্যস্ত বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বিশ্বব্যাংকের হিসেবে, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বিবেচনায় দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার অভাব, পোর্ট ইয়ার্ডের স্বল্পতা, পোর্ট শেড ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অনুপস্থিতি ইত্যদি কারণে এ বন্দরের অবস্থান বেশ পেছনে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রিজওয়ান রাহমান আরো বলেন, বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে পরিচালন ব্যয় উল্লেখজনক হারে কমানো সম্ভব। এ ছাড়া মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, জেটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ আরও উন্নয়ন করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো: মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে ডিপি ওয়ার্ল্ড, পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল এবং রেড সি পোর্টের মতো বিদেশী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা দেশের বন্দরগুলোর সক্ষমতা আরো বাড়াবে, যা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরো ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হবে।
সচিব আরো বলেন, বে-টার্মিনাল স্থাপনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার এটি নির্মাণে অগ্রসর হবে। দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে দক্ষ মানবসম্পদের অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উদ্যোগী হতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যোগাযোগ সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সর্বোপরি সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন, পিপিপি মডেলের ভিত্তিতে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, লজিস্টিক সেবার মান উন্নয়ন, জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো এবং শুল্ক নীতিমালা সংস্কার করা প্রয়োজন।