বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: অসাধু মিল মালিকদের সিন্ডিকেট ও বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে লবণ চাষিরা। মাঠ পর্যায়ে এক মন লবণ উৎপাদন করতে খরচ হয় ৩ শ’ টাকা। সে লবণ বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। এতে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুণতে হচ্ছে শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।
জানা গেছে, গেল মৌসুমে লবণ মজুত রয়েছে ৩.৪৮ লাখ মেট্রিক টন। এবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৬০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। দেশে লবণের চাহিদা দেখানো হয়েছে ১৯ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
বদরখালীর চাষি জসিম উদ্দীন বলেন, মন প্রতি ৫০০ টাকা থাকা লবণ ১৭০-২০০ টাকায় নেমে যাওয়ায় আমরা খুব কষ্টে আছি। আমি ঋণ নিয়ে এ চাষ শুরু করছিলাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ঋণ শোধ করতে পারিনি। তার মতে এর জন্য দায়ি পটিয়া ও নারায়ণগঞ্জের কিছু অসাধু মিল মালিক। যারা সিন্ডিকেট করে লবণের দাম কমিয়ে ফেলেছে। আর চাহিদা পূর্ণ থাকার পরেও বেশি লাভের আশায় বিদেশ থেকে লবণ আমদানি করে দেশি লবণের সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে।
লবণ চাষি সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মোর্শেদুর রহমান জানান, ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে এক কানি বা ৪০ শতক জায়গায় লবণ উৎপাদনে। কিন্তু তা বিক্রি করে চাষিরা পাচ্ছেন ৪৫ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিমণ লবণ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৩০০ টাকা। কিন্তু তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।
তিনি আরও জানান, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মণ প্রতি লবণের দাম ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০০ টাকায়। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে তা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায়। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে প্রতি মণ বিক্রি হয় ৩৫০-৪৫০ টাকা। এই অর্থবছরে চাষিরা লাভের মুখ দেখায় চলতি মৌসুমে লবণ চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন।