মাসুদ লস্কর, হবিগঞ্জ থেকে: সেই একই কাহিনী লাখাই উপজেলায়ও। সেতু আছে, কিন্তু সেতু দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা নেই। সেতু তৈরি হয়েছে, রাস্তা তৈরি হয়নি। সেতুটি কোন কাজে আসছে না। ইতিমধ্যে তা জরাজীর্ণ হতে শুরু করেছে।
বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের নোয়াগাঁওয়ে সুতাং নদীতে এ সেতু। নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
জানা যায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ এবং বামৈ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মাফুজের সময়ে সেতুটি নির্মান হয়েছিল। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে থাকলে বিভিন্ন অংশ জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বলেন “এ ত ব্রিজ নয় বাবা,, সরকারি অর্থ লোটের রাস্তা।’’
নবনির্বাচিত স্হানীয় ইউ,পি সদস্য অরঞ্জিত দাশ বলেন, আমি এখনো শপথ নেইনি। শপথের পর চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে হবিগঞ্জ জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব। আশাকরি সরকার এর বিহীত বিধান করবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উদ্দিন জানান, এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি শীঘ্রই পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনব এবং সমাধানের চেষ্টা করব।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুতাং নদীর অববাহিকায় সেতুর এক পাশে হিন্দু বসতি অন্যপাশে মুসলিম বসতি রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ সেতুর পাশেই বাঁশের সাকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন তা দিয়ে। ভাটি এলাকা বলে বর্ষা মৌসুমে চারদিকে পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। হাওরাঞ্চল বেষ্টিত এলাকায় জনসাধারণের সুবিধার জন্য এ সেতু তৈরি হয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায়।