Home আন্তর্জাতিক হলুদ ব্রাজিল আবার লাল ঝান্ডায়

হলুদ ব্রাজিল আবার লাল ঝান্ডায়

লুলা দ্য সিলভা

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

তাঁকে বলা হতো লাতিন আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগ্রাসী দক্ষিণপন্থায় দ্রুত গতিতে ব্রাজিলকে হাঁটাতে চেয়েছিলেন। তারপর কোভিডের সময়ে দেখা গিয়েছিল ফুটবলের দেশের অর্থনীতি কার্যত দুমড়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হেরেই গেলেন বলসোনারো। ব্রাসিলিয়ার কুর্সিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন হল মাঝে জেলে কাটানো লুলা দ্য সিলভার । হলুদ ব্রাজিল ফের ফিরল লাল ঝান্ডায়।

ব্রাজিলের এই নির্বাচনের দিকে নজর ছিল গোটা দুনিয়ার। বলসোনারোর হার ধরলে সাম্প্রতিক সময়ে তৃতীয় উগ্র দক্ষিণপন্থী শাসক গদিচ্যুত হলেন। এর আগে ইজরায়েলে শাসকের আসন গিয়েছিল বেঞ্জামিন নেতান ইয়াহুর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারতে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম পর্ব হয়েছিল গত ২ অক্টোবর। সেখানে লুলার পক্ষে গরিষ্ঠতা থাকলেও ৫০ শতাংশ ভোট ছিল না। উল্টো দিকে বলসোনারোর পক্ষে জন সমর্থন ছিল ৪৩ শতাংশ। চূড়ান্ত পর্বের ভোটের আগে আগ্রাসী প্রচার চালিয়েছিল বলসোনারোর পার্টি। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল তারা দাঁড়াতে পারল না ওয়ার্কার্স পার্টির সামনে।

ফের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর লুলা বলেছেন, “এখন আমাদের কাজ ব্রাজিলকে নতুন করে গড়া। দেশকে শান্তি আর সম্প্রীতির সুতোয় বাঁধতে হবে। এমন ব্রাজিল তৈরি করব যাতে দেশের সব মানুষ তিনবেলা পেট ভরে খেতে পায়।”

হারের আগে থেকেই বলসোনারো যেভাবে ভোটে কারচুপি, ইভিএমে গণ্ডগোলের তত্ত্ব বলা শুরু করেছিলেন তাতে অনেকেই ট্রাম্পের সুর শুনতে পাচ্ছিলেন। দেখা গেল হেরেই গেলেন বলসোনারো।

বিশ্ব রাজনীতির খোঁজ রাখা অনেকেই লুলার  জয়কে ‘মোস্ট পাওয়ারফুল কামব্যাক’ বলে অভিহিত করেছেন। ২০১০ সালে লুলা সরে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদ থেকে। তারপর তাঁকে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হয়। ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল সাওপাওলোর আদালত। ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন লুলা। সে দেশের শীর্ষ আদালত ১৮ মাসের মাথায় লুলাকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয়। সেদিন জেল থেকে বেরিয়ে লুলা বলেছিলেন, ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। শেষপর্যন্ত জিতলেন লুলা দ্য সিলভা।