Home কৃষি শখের বশেই পেঁয়াজ বীজ চাষে কোটিপতি সাহিদা

শখের বশেই পেঁয়াজ বীজ চাষে কোটিপতি সাহিদা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ফরিদপুর: শখের বশেই পেঁয়াজের বীজ চাষ শুরু করে আত্মনির্ভরশীল ফরিদপুর জেলার সাহিদা বেগম।

প্রায় ১৮-১৯ বছর ধরে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করছেন তিনি। চলতি বছরে ৩৫ একর জমি চাষাবাদ করে প্রায় ২শ মণ পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করেছেন। মৌসুমে এই বীজ মণ প্রতি ২ লাখ টাকা করে দাম পেয়েছেন।

সাহিদা বলেন, কৃষক পরিবারের বউ হওয়ার কারণে ‌আগে থেকেই নানা কৃষিকাজের সাথে পরিচয় ছিলো। আমার শ্বশুর মূলত পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের আগ্রহী ছিলেন।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে ২০ শতক জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেন। সে বছর মাত্র দুই মণ বীজ উৎপাদিত হয়েছিলো। সেগুলো বিক্রি করে পেয়েছিলেন ৮০ হাজার টাকা। পরের বছর আরো বেশি পরিমাণ জমিতে পেঁয়াজের চাষ করতে শুরু করেন। সে বছর পান ১৩ মণ বীজ। পরের বছর ৩২ মণ বীজ উঠলো। গেল বছর ১৫ একর আর চলতি বছর ৩৫ একর জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করেছিলাম। ঘরে তুলেছিলাম ২শ মণ বীজ।

তিনি জানান, আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করলেও অনেক সময় চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। ফরিদপুর জেলার স্থানীয় কৃষক তো বটেই, পুরো বাংলাদেশে তারা বীজ সরবরাহ করে থাকেন। আমাদের বীজ ভালো বলে চাহিদা থাকে। কৃষকরা অনেক খুশি। কারণ এর মধ্যে কোনো ঝামেলা নাই। নিজের প্রোডাক্ট, কোনো ভেজাল নাই।

সাহিদা বেগমের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের কাজে সহায়তা করেন তার স্বামী বক্তার উদ্দিন খানও। যিনি পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।

স্বামী ছাড়াও পরিবারে দুই মেয়ে নিয়ে চার জনের সংসার সাহিদা বেগমের। সাহিদা বেগম নিজেই গড়ে তুলেছেন পেঁয়াজের বীজের কারখানা। সেখান থেকেই বীজ প্যাকেটজাত করা এবং ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। তার তৈরি করা বীজ ক্রেতাদের কাছে পরিচিত ‘খান সিডস’ নামে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. হযরত আলী জানান, চলতি বছর পেঁয়াজের বীজের চাহিদা বেশি থাকার কারণে দাম ছিলো বেশ চড়া। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দরে। সে হিসেবে সাহিদা বেগম প্রায় চার কোটি টাকার বেশি বীজ বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া সাহিদা বেগম কৃষিক্ষেত্রে একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন।