*সম্মিলিত পরিষদের ১১ দফা ইশতেহার ঘোষণা
*এরা কারা তা সাধারণ সদস্যরা জানেন
*জাহাজ ভিড়ানোর তদবিরে কারা জড়িত?
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: শিপিং এজেন্টদের স্বার্থবিরোধী কাজে জড়িতদের হটাতে হলে আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের কোন বিকল্প নেই।
সোমবার (২২ মার্চ ) হোটেল আগ্রাবাদে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভায় বিভিন্ন বক্তা এ কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজেদের জাহাজ ভিড়ানোর তদবিরে কারা জড়িত তা সাধারণ সদস্যদের সবাই জানেন।
সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ সভায় ১১ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিপিং ব্যক্তিত্ব আতাউল করিম চৌধুরী, পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ওসমান গনি, কাজি এম ডি চৌধুরী, মোহাম্মদী শিপিংয়ের পরিচালক কাজি এমডি আবু নাইম, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশন ( বিএসএএ )’র ভাইস-চেয়ারম্যান সফিকুল আলম ( জুয়েল ), লিটমন্ড শিপিংয়ের পরিচালক মো. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন না হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সভায় এসোসিয়েশনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিত পরিষদ সবসময় সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে এসেছে। আগামী দিনেও সদস্যদের পাশে সবসময় থাকার অঙ্গীকার করছি।
পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী বলেন, সম্মিলিত পরিষদ ঐকমত্যের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়। ব্যক্তিগত স্বার্থে এসোসিয়েশনকে ব্যবহার করবে না সম্মিলিত পরিষদ। এসোসিয়েশনের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।
কাজি এম ডি আবু নাইম বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি–বন্দর ও কাস্টমসসহ বিভিন্ন সংস্থায় অনেকে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলো। এর বড় প্রমাণ হলো গভীর সাগরে পাইলটিং দায়িত্ব ৫ প্রতিষ্ঠানের বাগিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজেদের জাহাজ ভিড়ানোর জন্য তদবির। এরা কারা তা সাধারণ সদস্যরা সবাই জানেন। সদস্যদের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে যারা যুক্ত তাদেরকে হটাতে হলে সম্মিলিত পরিষদের বিকল্প নেই।
পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সবাইকে নিয়ে কাজ করা, সাব-কমিটিগুলোকে কার্যকর করার জন্য কন্টেইনার, বাল্ক, ট্যাংকার ইত্যাদির জন্য অভিজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন, প্রতি তিন মাস অন্তর সব সদস্যদের নিয়ে সভা করে সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখা, সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচন।