Home আইন-আদালত শিবিরের নেতাকর্মী গুমের অভিযোগে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

শিবিরের নেতাকর্মী গুমের অভিযোগে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

গুমের অভিযোগ দাখিল করার পর ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিং। ছবি সংগৃহীত

 ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গুম হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঐ ছয়জন নেতাকর্মী হলেন- শাহ মো: ওয়ালিউল্লাহ, মো: মোকাদ্দেস আলী, হাফেজ জাকির হোসেন, মো: জয়নাল আবেদীন, রেজোয়ান হোসাইন ও মু. কামরুজ্জামান।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে গুমের অভিযোগে র‌্যাব ও ডিবির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে তাদের পরিবার।

সোমবার (২১ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গুম হওয়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঐ ছয়জন নেতাকর্মী হলেন- শাহ মো: ওয়ালিউল্লাহ, মো: মোকাদ্দেস আলী, হাফেজ জাকির হোসেন, মো: জয়নাল আবেদীন, রেজোয়ান হোসাইন ও মু. কামরুজ্জামান।

৬ নেতাকে গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, আইন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আদিব এবং গুম হওয়া ছাত্রশিবির নেতাদের পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় জানানো হয়, গুম হওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি ও মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ করে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গুমের অভিযোগ দাখিল করার পর ট্রাইব্যুনালে এক ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, ‘গত ১৭ বছর ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। জেল-জুলুম, মামলা-হামলা, রিমান্ড, হত্যাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন এখনো গুম আছেন।

ওই ছয়জনকে খুঁজতে ৬ আগস্ট র‌্যাব সদর দফতরে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা করবে বলে জানালেও এখনো কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুম হওয়া ছয় নেতাকর্মীর সন্ধান ও র‌্যাব-ডিবির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছে তাদের পরিবার। আমরা ভিকটিমের পরিবারের সাথে এসেছি। এবং তাদেরকে এই অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছি।’

তারা বলেন, ‘আমরা এখানে কাউকে আসামি করেনি। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা বলেছি। আমরা অভিযোগ করেছি, ট্রাইব্যুনাল তদন্ত করে সত্যিকারের যারা অপরাধের সাথে জড়িত। যারা এই গুমের সাথে জড়িত তাদের বের করবে এবং শাস্তির আওতায় আনবে বলে মনে করি। এখানে আমরা র‌্যাব ও ডিবির কথা বলেছি।’