দেশের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪৮ ব্যক্তিকে ‘বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি হিসেবে (সিআইপি-শিল্প) নির্বাচিত করেছে সরকার। ২০১৭ সালের জন্য মনোনীত এসব সিআইপিরা এক বছরের জন্য পরিচয়পত্র পাবেন, যা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন।
বুধবার( ১৩ নভেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে অবদানের জন্য ‘সিআইপি (শিল্প) নির্বাচন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জন্য নয় ক্যাটাগরিতে ৪৮ জন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এনসিআইডি ক্যাটগিরিতে সিআইপি (শিল্প) নির্বাচিতরা হলেন: এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সেলিমা আহমাদ, বাংলাদেশ এমপ্লায়ার্স ফেডারেশন (বিইএফ) এর সভাপতি সালাহউদ্দিন কাশেম খান এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) এর সভাপতি মির্জা নূরুল গণী শোভন।
বৃহৎ শিল্প (উৎপাদন) খাতে সিআইপি হয়েছেন ১৫ জন, বৃহৎ শিল্প (সেবা) খাতের ৫ জন, মাঝারি শিল্প (উৎপাদন) খাতে ৯ জন, মাঝারি শিল্প (সেবা) খাতের ৩ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) খাতের ৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্প (সেবা) খাতের একজন, মাইক্রো শিল্প খাতে দুই জন এবং কুটির শিল্প খাতে দুইজন সিআইপি শিল্প হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিআইপিরা কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক
বছরের জন্য ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে
সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য
তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে ‘লেটার অব
ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং
সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তাঁরা।
সরকারি হাসপাতালে স্ত্রী,
সন্তান ও নিজের চিকিৎসা সেবা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া সরকার
শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
করতে পারবে।