জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর থেকে: শীত আসতে আর বাকি নেই। শীতের আগমনী বার্তার জানান দিচ্ছে আবহাওয়া । এরই মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছেন চাষিরা।
প্রতি বছর আগাম উৎপাদিত সবজি বাজারে তুলে বিক্রয়ে ভালো দাম পেয়ে থাকেন চাষিরা। তাই আগাম সবজি আবাদে আগ্রহী হন তারা। ৫ ইউনিয়ন এর কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন এর পোরার হাট, উত্তর সোনাখুলি, কামারপুকুর ও বাংগালীপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের চাষিরা ব্যস্ত শীতকালীন সবজি চাষে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শীতকালীন সবজি চাষ লাভবান হওয়ায় কৃষকেরা এদিকেই ঝুঁকে পড়েছেন বলে জানান এলাকার চাষিরা। শীতের শুরুতেই বাজারে বিক্রি করে বেশি টাকা আয়ের আশায় চাষিরা এখন জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চারা বপন ও পরিচর্যার কাজ করছেন। এ সমস্ত এলাকায় চাষ হচ্ছে, আলু, মূলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ঢেঁড়স, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক, লাউ অন্যতম। তবে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে এ বছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাষ অনেক বেশি চাষাবাদ হয়েছে ।
সবজির মান ভালো হওয়ায় পইকারীর পাশাপাশি খুচরা বাজারেও নতুন সবজির চাহিদা বেশ ভালো থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায় বলে আগাম সব্জি চাষে আগ্রহ কৃষকদের ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালীন লাল শাকের আবাদ হয়েছে ৮০ হেক্টর জমিতে, পালংশাক ১২০ হেক্টর জমিতে, শিম প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে, মুলা ১০৫ হেক্টর জমিতে, টমেটো ৯০ হেক্টর জমিতে, বাঁধাকপি ১০০ হেক্টর জমিতে, ফুলকপি ৮৫ হেক্টর জমিতে, বেগুন ১০০ হেক্টর জমিতে, গাজর ২০ হেক্টর জমিতে, শসা ৩০ হেক্টর জমিতে, মিষ্টি কুমড়া ১২ হেক্টর জমিতে, বরবটি ১৫ হেক্টর জমিতে, পেঁপে ১৪ হেক্টর জমিতে, ডাটাশাক আলু প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে, সরিষা ৬০ হেক্টর জমিতে ও মরিচ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
খোদ্দ বোতলাগাড়ির কৃষক মোন্নাফ জানান, আগাম সবজি চাষ করে বেশি লাভবান করে থাকি।নীলফামারী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার এসে উৎপাদিত এসব সবজি মাঠ থেকেই ক্রয় করে নিয়ে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে থাকেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহিনা জানান, অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সৈয়দপুর উপজেলায় ব্যাপক সবজির আবাদ হয়। এখানকার কৃষক সহ জনসাধারণের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে বিক্রি করা হয়।