Home শেয়ারবাজার শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালুর উদ্যোগ

শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালুর উদ্যোগ

চট্টগ্রাম: রবিবার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ লি. (সিএসই) এর প্রধান কার্যালয়ে লার্জ স্কেল পাইলটিং-এর আওতায় একাধিক সরকারি সিকিউরিটিজের পরীক্ষামূলক লেনদেন বিষয়ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথি ছিলেন ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন । উপস্থিত ছিলেন জনাব সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ড. নাহিদ হাসান, যুগ্ম সচিব, আথিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রনালয় , মো. ফিরোজ আহমেদ, যুগ্ম সচিব ,অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, রুহুল আমিন, উপসচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, জনাব মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম পরিচালক, ডেব্ট মেনেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংক, হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক, জনাব মো. আবুল কালাম, পরিচালক, বিএসইসি, মো. লুৎফুল কবির, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, বিএসইসি, নজরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর, বিএসইসি,  মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম, পরিচালক, সিএসই এবং সিএসই, ডিএসই, সিডিবিএল, সিসিবিএল এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

প্রধান অতিথি ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের শেয়ারবাজারে পাইলটিংয়ের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদি ৪টি সরকারি সিকিউরিটিজের (ট্রেজারি বন্ড) লেনদেন শুরু হয়েছে। এটি আমাদের শেয়ারবাজারের জন্য মাইলফলক ও দুর্দান্ত বিষয়। কারণ আমাদের প্রচুর সরকারি বন্ড রয়েছে। তবে তা কিছু মানুষের কাছে মজুত রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ যাতে লেনদেন করতে পারে সে লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ চালু করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 ড. আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারকে আরও বৈচিত্র্যময়, পরিধি ও গভীরতা বাড়ানোর জন্য শেয়ার বাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন চালু করা দরকার ছিল। সিকিউরিটিজ ও বন্ডের জন্য দেশে একটি দ্বিতীয় বাজারের চাহিদা অর্থনীতির সবসময়ই ছিল। আর এই যুগেই আমার আছি। সুতরাং বিষয়টিকে চূড়ান্ত ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন করা খুব দরকার। শামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, শেয়ারবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন পুরোপুরিভাবে চালু করার আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। সব স্টেকহোল্ডাররা যাতে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বলেন,আজ শেয়ারবাজারের জন্য মাইলফলক এবং বিশেষ ক্ষণ। এই শুভক্ষণে, এই উদ্যোগ সফল করার সাথে জড়িত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, বিশেষ করে সবার সমন্বিত সহযোগীতার জন্য। মূল ট্রেডিং উইনডোতে ট্রেড শুরু করার জন্য আইন এর পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, সংশোধন যা কিছু করার প্রয়োজন তার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া  হবে এবং দ্রুত কার্যকর করা হবে। এই ট্রেডিং শুরু হলে, মার্কেটের তারল্যতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা রাখি।

উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন : লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এমটিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর সিইওবৃন্দ ।