বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: সাইডলাইনে থাকা বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে ফিরতে শুরু করেছে। ফ্লোর প্রাইস কার্যকরের প্রথমদিন থেকে তারা সক্রিয়। এর প্রতিফলন দেখা গেছে লেনদেনে। বাড়ছে লেনদেন।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা। লেনদেন হয়েছে ১১৮৩ কোটি টাকার । গতকালের এই লেনদেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর তৃতীয় সর্বোচ্চ। ৭৫ শতাংশ শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৫ পয়েন্ট। এ নিয়ে টানা তিন দিনে সূচক বেড়েছে ২৬৯ পয়েন্ট।
গত জুলাইয়ের শেষ তিন সপ্তাহের ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ১১ দিনই পতন হয় পুঁজিবাজারে। এই প্রেক্ষাপটে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরু থেকেই বাজারে উত্থান দেখা দেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার দর বাড়তে থাকায় সূচকও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। দিন শেষে লেনদেন হওয়া ৩৮৬টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ২৯০টির দর বাড়ে। এতে করে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৪৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়। খাতওয়ারি পর্যালোচনায় দেখা যায়, খাদ্য ও অনুষঙ্গ ছাড়া অন্যসব খাতের বাজার মূলধন বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বীমা, সেবা ও নির্মাণ, বিবিধ, কাগজ ও প্রকাশনা, বস্ত্র, সিরামিক ও পাট খাতের দর।
বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিয়ে গুজবের কারণে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে। এতে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন ঘটে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় কমিশন ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। ফলে শেয়ারদর একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে আর নামতে পারবে না। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করেছে এবং আগের চেয়ে বাজারে তাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।