Home সারাদেশ শোক দিবসে নোয়াখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ে তালা

শোক দিবসে নোয়াখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ে তালা

নোয়াখালী থেকে সংবাদদাতা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে আবদুল মালেক উকিল প্রধান সড়কে বক্তব্যকালে এমন অভিযোগ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, আজকে ১৫ আগস্ট শোকের দিন। আমরা আ.লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকার আছে তাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় শোক দিবসে তার প্রতিকৃর্তিতে মাল্যদান করার ষোল কোটি মানুষের অধিকার রয়েছে। জেলা আও.লীগ কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অধিকার কারও নাই।
শাহীন বলেন, আমরা যখন শোক র‌্যালি নিয়ে জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে আসা শুরু করেছি, ইতিমধ্যে কয়েকটা মিডিয়াতে চলে এসেছে জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে তালা। তাৎক্ষনিক আমি দেখেছি, আমাদের কয়েকজন নেতা ফোনে যোগাযোগ করে আমরা আসার এক মিনিট আগে তালা খুলে দিয়েছে। অর্থাৎ আমি যখন এটা আপনাদের (মিডিয়া) সামনে উপস্থাপন করবো, সেই জন্য তিনারা এটা বলেছেন।
শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, জাতীয় শোক দিবসে কেন নোয়াখালী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা? এই বিচার আমাদের মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দিলাম। আমরা জানতে চাই কে এই লোক? এখন আর তার আমাদের দল করার দরকার নাই।


এসময় শিহাব উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিতে আসা নেতাকর্মীরা শোক দিবসে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে  তালা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিকে, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো অবস্থায় পুলিশি পাহারার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেন তালা ঝুলবে, আমি তো দুইটা বাজে ফুল দিয়ে বের হয়েছে। শিহাব উদ্দিন শাহীনের বক্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন সাংসদ একরাম।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম বলেন, অফিস বন্ধ করে ছেলেরা মসজিদে মসজিদে শোক দিবসের জিলাপী বিতরণ করতে গেছে। কিছুক্ষণ পরই অফিস আবার খোলা হয়েছে।