বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: শিপিং এজেন্টরা ছ’দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে সংকটের সম্মুখীন। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের কাছে প্রণোদনা চেয়েছে বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং এসোসিয়েশন।
এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি ক্যাপ্টেন এ এস চৌধুরী বুধবার বিজনেসটুডে২৪কে জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণে সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা এবং প্রণোদনা চেয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কাছে পত্র দেয়া হয়েছে। আশা করি অবিলম্বে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
ক্যাপ্টেন চৌধুরী জানান, দেশে-বিদেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিপিং এজেন্টরা বিশাল ক্ষতির মুখে। সরকারি প্রণোদনা ছাড়া উত্তরণের কোন উপায় নেই।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে শিপিং এজেন্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ফিডার ভেসেল, কন্টেইনার সরবরাহ এবং মাদার ভেসেলের সংযোগ আমরা করে থাকি। কয়েক মাস ধরে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের যে মহাদুর্যোগ তার সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব সমুদ্রপথের বাণিজ্যে। আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ব্যাপকভাবে। তাতে শিপিং খাত ভয়াবহ রকমের সংকটে পড়েছে। অস্বাভাবিক হারে কমেছে ফ্রেইট। সেই সঙ্গে শিপিং খাতের সক্ষমতা অকেজো পড়ে আছে।অপরদিকে, দৈনন্দিন ব্যয় একটুও কমেনি। বেড়ে গেছে। এ সেক্টরে নিয়োজিত অনেকের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে তাতে।
ক্যাপ্টেন চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রতিবেশি দেশসমূহ শিপিং সেক্টরকে বিভিন্ন রকমের সহায়তা দিচ্ছে করোনাভাইরাসের ক্ষতি থেকে উত্তরণে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে শিপিং খাতকেও অনুরূপভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
পোর্ট ডিউজ, পাইলট ডিউজ, বার্থিং আনবার্থিংচার্জ, গ্যান্ট্রি ক্রেন চার্জ, লোডিং ডিসচার্জিং চার্জ এবং পোর্ট স্টোরেজ চার্জ কমানোর জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ কন্টেইনার শিপিং এসোসিয়েশন। এছাড়া, আরও বেশ কিছু সুবিধার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বন্দরে খালি কন্টেইনারের অতিরিক্ত ফ্রি টাইম, পোর্ট ডেমারেজ চার্জ প্রত্যাহার, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কন্টেইনার চার্জ কমানো, বিদ্যমান তারল্য সংকটের কারণে পোর্টের পাওনা পরিশোধের সময় বাড়ানো ইত্যাদি।