Home আন্তর্জাতিক সংঘাতের গুঞ্জন হোয়াইট হাউস ঘিরে

সংঘাতের গুঞ্জন হোয়াইট হাউস ঘিরে

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

লড়াই, জয়, রাজ্যপাটের শুরুয়াত ভালই হয়েছিল তাঁদের। সারা পৃথিবী অভিবাদন জানিয়েছিল তাদের হাত ধরে আসা পরিবর্তনকে। কিন্তু তাঁদের নামই এবার জড়াল সংঘাতের চর্চায়। গুজব ঘনিয়েছে, হোয়াইট হাউসে নাকি ঠান্ডা লড়াই চলছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের । তাহলে কি বাইডেন-কমলার মধুচন্দ্রিমা পর্ব ফুরোতে চলল!

কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত কোথায়! মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দাবি করেছে, ‘ওয়েস্ট উইং’-কে নিয়েই শুরু হয়েছে সমস্যা। কাকে বলে ওয়েস্ট উইং?

এটি আসলে একসময়কার জনপ্রিয় এক টিভি ধারাবাহিকের নাম। তাতে হোয়াইট হাউসের নানা কাণ্ডকারখানা দেখানো হয়েছিল। তার পর থেকে ওয়েস্ট উইং বলতে ওভাল অফিস তথা হোয়াইট হাউসের উচ্চপদস্থ কর্তাদের বোঝায়। এই ‘ওয়েস্ট উইং’ নাকি কমলা হ্যারিসকে আদৌ পছন্দ করছে না। দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি যতদূর সক্রিয় হবেন বলে আশা করা গিয়েছিল, বাস্তবে কমলা সেই আশা পূরণ করতে পারেননি।

কমলাও হোয়াইট হাউসের অফিসারদের প্রতি খুশি নন। সিএনএনের দাবি, বাইডেন প্রশাসনে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন কমলা। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেছেন, কমলা একসময় স্বপ্ন দেখতেন, বাইডেনের পরে তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বাইডেনের অনুগামীরা তাঁর ওপরে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ফলে আগামী দিনে কমলার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমছে

ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম সাতমাস বাইডেনের জনপ্রিয়তা ছিল অটুট। তাঁর পূর্বসুরী ডোনাল্ড ট্রাম্প সহজে পরাজয় স্বীকার করেননি। একাধিকবার তিনি ডেমোক্র্যাটদের সম্পর্কে নানা কটূক্তি করেছেন। কিন্তু বাইডেন ছিলেন শান্ত। করোনা অতিমহামারী রুখতেও তিনি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। ফলে অর্ধেকের বেশি আমেরিকান তাঁকে পছন্দ করতেন।

পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে গত গ্রীষ্মের মাঝামাঝি থেকে। আমেরিকায় দেখা যায় করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ। অর্থনীতির বিকাশের গতি হয়ে পড়ে মন্থর। আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর সময় ব্যাপক গোলমাল হয়। বাইডেনের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই শুরু হয় বিবাদ। নভেম্বরে জনমত সমীক্ষায় দেখা যায়, আগের জনপ্রিয়তা অনেকাংশে হারিয়েছেন বাইডেন।

কমলার ভূমিকা কী

কমলা আমেরিকার প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট তো বটেই, তার ওপরে তিনি অশ্বেতাঙ্গ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই খুঁটিয়ে লক্ষ করছিলেন পর্যবেক্ষকরা। ডেমোক্র্যাট পার্টির একাংশের ধারণা, তিনি মোটেই পাবলিকের মন বুঝে চলতে পারেন না। সরকারের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কোনও পদক্ষেপই নিতে পারছেন না তিনি।

অনেকের ধারণা, হ্যারিস তাঁর সহকর্মী হিসাবে যে অফিসারদের বেছে নিয়েছেন, তাঁরা কেউই যোগ্য নন। তার চেয়েও বড় কথা, কমলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তাঁর পরিবারের লোকজনও নাকি প্রশাসনে নাক গলাতে শুরু করেছে।

বাইডেন নিজেও নাকি একসময় ভেবেছিলেন, তাঁর পরে প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা। কিন্তু এখন তিনিও নাকি কমলার প্রতি বিশেষ সন্তুষ্ট নন। তাঁর প্রশাসনে ক্রমেই গুরুত্ব হারাচ্ছেন কমলা।