বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
সংসারকে বলা হয় সুখের আধার। স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি মিলেমিলে মধুর জীবন যাপনেই নিহিত থাকে সুখ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, ‘মানুষ যতটা সুখী হতে চায়, সে ততটাই হতে পারে। সুখের কোনও পরিসীমা নেই। ইচ্ছে করলেই সুখকে আমরা আকাশ অভিসারী করে তুলতে পারি।’
কথায় আছে, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে/ গুণবান পতি যদি থাকে তার সনে’। কিন্তু পতির কী এমন গুণ থাকতে হবে, যা থাকলেই সংসারে থাকবে সুখ।
সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আলেকজান্দ্রা বিলোওয়ান্ড এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখিয়েছেন, শুধু রমণীর গুণে নয়, সংসার সুখের হয় পুরুষের রোজগারে। ঘরের পুরুষ যদি ভালো আয়-রোজগার করেন তবে সংসারে সুখ বজায় থাকে। কারণ, তাতে করে সাংসারিক চাহিদা ঠিকঠাক মেটানো যায়। উল্টোটা হলেই অনেকক্ষেত্রে ঘটে বিপত্তি। এমনকি সংসারে ভাঙনও ধরে। ১৯৭০ সালে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ৩০০ দম্পতির ওপর গবেষণা চালিয়ে এমন বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আলেকজান্দ্রা।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ। আর এই বিবাহবিচ্ছেদের পেছনেও পুরুষের কম রোজগার কিংবা বেকারত্বকেই প্রতিবেদনে বড় অংশে দায়ী করা হয়েছে।
তবে সর্বোপরি এটা নিশ্চিত যে, জীবনের জন্য টাকা-পয়সা প্রয়োজন। তবে শুধুমাত্র অর্থই সুখের দিতে পারে না। এজন্য রমণীর গুণও সমানভাবে অপরিহার্য।আলেকজান্দ্রা বিলোওয়ান্ড’র গবেষণার যৌক্তিকতা অস্বীকার করা যায় না। তবে সুখের জন্য স্বামী-স্ত্রী কিংবা সংসারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকাও জরুরি।