Home Second Lead সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৭ জন রিমান্ডে

সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৭ জন রিমান্ডে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের কারখানায় আগুনে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হাশেম ও প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা তার ছেলে সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷

পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। শনিবার (১০ জুলাই) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের ভার্চুয়াল আদালতে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা ওই মামলায় আসামি করা হয় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম (৭০), তার চার ছেলে — হাসিব বিন হাশেম (৩৯), তারেক ইব্রাহিম (৩৫), তাওসিব ইব্রাহিম (৩৩) ও তানজিম ইব্রাহিম (২১), সজীব গ্রুপের সিইও শাহান শাহ্ আজাদ (৪৩), হাশেম ফুডস লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ (৫৪) এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও এডমিন মো. সালাহউদ্দিনকে (৩০)।

শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুরে বিভিন্ন স্থান থেকে সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ অন্যদের আটকের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়।

সজীব গ্রুপেরই কারখানা রুপগঞ্জের হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ। সেজান জুস, নসিলা, ট্যাং, কুলসন ম্যাকারনি, বোর্নভিটা, লাচ্ছা সেমাই ইত্যাদি খাদ্যপণ্য তৈরি হত।

অগ্নিকাণ্ডের পর ঐ কারখানায় ত্রুটিপূর্ণ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, নির্গমন পথে তালা লাগানো ও শিশুশ্রমের মত বিষয়গুলো দৃশ্যমান হয়।

কারখানাটিতে বহু শিশু শ্রমিক কাজ করতো। শ্রমিকদের অভিযোগ, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই ভবনের দু’টি দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগেই কিছু শ্রমিক কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়লে ভীত-সন্ত্রস্ত বেশ কিছু শ্রমিক ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন।

তবে রূপগঞ্জে ঐ কারখানায় অগ্নিকান্ডের দায় নিতে রাজি নয় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম। এখন পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমের ভাষ্য ‘জীবনে বড় ভুল করেছি ইন্ডাস্ট্রি করে। ইন্ডাস্ট্রি করলে শ্রমিক থাকবে। শ্রমিক থাকলে কাজ হবে। কাজ হলে আগুন লাগতেই পারে। এর দায় কি আমার?’

শুক্রবার অগ্নিকান্ডের পর গণমাধ্যকে তিনি বলেন, ‘আমি তো আর যেয়ে আগুন লাগিয়ে দেইনি। অথবা আমার কোন ম্যানেজার আগুন লাগায়নি। শ্রমিকদের অবহেলার কারণেও আগুন লাগতে পারে।’

ভবনটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।