বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) সঞ্চয়পত্রসহ জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে বিনিয়োগ হয়েছে ৯৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার ।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আলোচ্য সময়ে আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ৭৯ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ফলে এ খাত থেকে সরকারের নিট ঋণ এসেছে ১৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা ৫১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১ মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল ৩৭ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিমাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে সুদহার কমানো হয়েছে। আবার ঘোষণার বাইরে সঞ্চয়পত্র থাকলে জেল-জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এ কারণে অনেকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমিয়েছেন।
চলতি বছরের মে মাসে ৭ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এ সময় মূল অর্থ ও মুনাফা পরিশোধ হয়েছে ৭ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৩৮ কোটি টাকা। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার নিট ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। ১১ মাসে অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঋণ এসেছে ৫৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বাজেট উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত মুনাফার ওপর নির্ভরশীল স্বল্প-আয়ের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রেখে ১৫ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সীমাভেদে ১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফার হার কমানো হয়। এতে করে সঞ্চয়পত্র বাবদ সরকারের সুদ ব্যয় কমলেও ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের ক্ষেত্রে মুনাফার হার একই থাকবে।’
সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৪২ হাজার কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছিল, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের নিট ঋণ ছিল ৪৯ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার ঋণ নিয়েছিল ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নিয়েছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা।