বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: হেফাজতের তাণ্ডবের ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ওবায়দুল কাদের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি তার বাসভবন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অপরাধী কোনো দলের হতে পারে না, ধর্ম কখনও সহিংসতা উসকে দেয় না। যারা ধর্মের নামে স্বার্থ হাসিলের নোংরা রাজনীতি করছে এবং সম্পদ নষ্ট করছে তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক নিপীড়নে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার সব দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হেফাজতের মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের এ অভিযোগ গতানুগতিক এবং সত্য নয়। হেফাজত দেশব্যাপী যে তাণ্ডব চালিয়েছে এবং জনগণ তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদে আগুন দিয়েছে তা নিয়ে বিএনপি একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে এমন অভিযোগ সত্যের অপলাপ।
বিএনপিকে সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে তাদের কর্মীদের দমন করছে, এ অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের এসব কথা শুনলে জনগণ হাসে। তারা অপরাজনীতি ও মিথ্যাচারকে রাজনীতি মনে করছে। জনগণের কল্যাণ থেকে দূরে থেকে বিএনপি এখন সন্ত্রাস ও গুজবনির্ভর রাজনীতির চর্চা করছে। বিএনপিকে সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের পথ থেকে জনকল্যাণমুখী ও ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসার আহ্বান জানাই।
কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই দেশের মানুষের সুরক্ষা তথা সংক্রমণ রোধে শেখ হাসিনা সরকার যে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের জীবনের সুরক্ষার স্বার্থেই।
বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতি জনগণের জন্য, করোনা দল চেনে না, সবাই এই ভাইরাসের শিকার হতে পারে। সুতরাং করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে সরকারকে প্রয়োজনে গঠনমূলক পরামর্শ দিন। এই মহামারি থেকে উত্তরণে সবাইকে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।