বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের উপর ছুরি নিয়ে হামলা। বৃহস্পতিবার সাতসকালে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত তিনি। দুই থেকে তিনবার ছুরির কোপ মারা হয় অভিনেতাকে।
সকালে অভিযুক্ত এক ব্যক্তি তার বাড়িতে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরিচারিকার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ায়। বচসা থামানোর চেষ্টা করলে তারকার উপর ছুরিকাঘাত করে ওই অভিযুক্ত। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারকা। আঘাত এতটাই যে সার্জারির প্রয়োজন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভোরে ঘটনাটি ঘটে। ডাকাতদের আটকাতে গিয়ে সাইফ আহত হন। যখন ডাকাতির চেষ্টা করা হয়, তখন সাইফ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় সাইফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। যাতে গুরুতর জখম হন অভিনেতা। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাড়ির বাসিন্দারা জেগে ওঠার পর ডাকাতরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এবং পুলিশ তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। বান্দ্রা পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কয়েকটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে।
বান্দ্রা ডিভিশনের ডিসিপির বলেন, ‘এটা সত্যি। রাত আড়াইটার দিকে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনা ঘটে। সাইফ আহত হয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি, তবে গুরুতর মনে হচ্ছে না। তিনি ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন নাকি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চও এই ঘটনার সমান্তরাল তদন্ত করছে।’
লীলাবতী হাসপাতালের সিওও ডাঃ নীরজ উত্তমণি জানালেন, ‘সাইফের বাড়িতে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ লীলাবতীতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। তার শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে, যার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। একটি আঘাত তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি। আমরা তার অপারেশন করছি। তাঁর অস্ত্রোপচার করছেন নিউরোসার্জন নীতিন ডাঙ্গে, কসমেটিক সার্জন লীনা জৈন এবং অ্যানাস্থেটিস্ট নিশা গান্ধী। অস্ত্রোপচারের পরই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
ডাঃ উত্তমণি আরও বলেছেন যে, সইফের ঘাড়ে আরও একটি আঘাত রয়েছে এবং সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
সৎগুরু শরণ ভবনে থাকেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন ৭ বছরের তৈমুর ও ৩ বছরের জেহ। ছাদ, বারান্দা, সুইমিং পুল-নিয়ে ৩ বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্ট। সঙ্গে ডাইনিংও বেশ বড়। কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা আশ্চর্য করেছে সক্কলকে।