Home বিনোদন সাইফআলির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন

সাইফআলির ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন

সংগৃহীত ছবি।

আরও এক সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার মধ্যপ্রদেশের ছত্তিশগঢ় থেকে

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার মধ্যপ্রদেশের ছত্তিশগঢ় থেকে একব‍্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি এই ব‍্যক্তিই আসল হামলাকারী।আটক ব্যাক্তির নাম আকাশ কৈলাস কান্নোজিয়া, বয়স ৩১ বছর।  ছত্তিসগড়ের দুর্গ রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাঁকে আটক করা হয়

রেলপুলিশ বলেছে, ,“মুম্বই পুলিশের পাঠানো খবরের ভিত্তিতে মুম্বই-হাওড়া জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্গ স্টেশনে পৌঁছতেই আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ধৃত ওই ব্যক্তি জেনারেল কামরায় বসে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” মুম্বই পুলিশ আগে থেকেই অভিযুক্তের ছবি, ট্রেন নম্বর এবং লোকেশন পাঠিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে ধৃত আরপিএফ-এর কাস্টাডিতেই রয়েছে।

সাইফের বাড়িতে হামলাকারীর ছবি প্রথম ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে।  এক ট্রেন যাত্রী সেই ছবি দেখেছিলেন। ট্রেনে এক ব‍্যক্তিকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। আততায়ীর সঙ্গে ওই ব‍্যক্তির চেহারায় মিল দেখেই তিনি পুলিশকে জানান।

সাইফকে হামলার ঘটনায় এর আগেও এক ব‍্যক্তিকে আটক করে মুম্বই পুলিশ। সিসিটিভি-তে দেখা মুখের সঙ্গে সেই ব্যক্তির মুখ হুবহু মিলে যাওয়ায় তাকে নাকি গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে গ্রেফতারির খবর সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেয় মুম্বই পুলিশ।

সংগৃহীত ছবি

গত বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বান্দ্রার বাড়িতে অভিনেতা সইফ আলি খানকে আক্রমণ করে এক আততায়ী। তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বিপদমুক্ত হয়েছেন অভিনেতা। সোমবারের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।

এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে আরও নানা রকমের প্রশ্ন। পুলিশ কর্মীদের কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেন সইফ-করিনার মতো তারকার বাড়ির প্রবেশ পথে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই!

ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন:

প্রশ্ন উঠছে সাইফের অটোরিকশায় হাসপাতাল যাওয়া নিয়ে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বার বার বলা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় পিঠ টান টান করেই রক্তাক্ত সইফ প্রবেশ করেছিলেন হাসপাতালে। স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ারে নয়, হেঁটেই ঢুকেছিলেন তিনি। হাতে ধরা আট বছরের ছেলে তৈমুরের হাত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক কর্মী। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে,

১) সত্যিই যদি সাইফ জখম অবস্থাতেও এতখানি শক্ত থেকে থাকেন, তা হলে কেন নিজেই গাড়ি চালাতে পারলেন না? সাধারণত সইফকে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। বাড়ি মাত্র ২ কিলোমিটার দূরেই তো লীলাবতী হাসপাতাল!

২) কেন তৈমুরের মতো আট বছরের এক বালককে যেতে হল হাসপাতালে? আর কেউ কি ছিলেন না অত বড় বাড়িতে?

৩) সে সময় বাড়িতে করিনা যদি থেকে থাকেন, তা হলে কেন তিনি তৈমুরকে বাড়ি থেকে বেরতে দিলেন? যে সময় দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়, সে সময় তো নিশ্চিত করা যায়নি বাইরে তার কোনও দলবল রয়েছে কি না!

৪) শোনা গিয়েছে, ঘটনার পরই করিনা এবং জেহ্কে নিজের বাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন করিশ্মা কপূর। সে সময় তৈমুর কোথায় ছিলেন?

ছবি সংগৃহীত

৫) প্রাথমিক ভাবে কেন রটে গেল, বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান?

এ ছাড়াও জানা গিয়েছে, ‘সৎগুরু শরণ’ আবাসনের নবম থেকে দ্বাদশ তলের পুরোটাই সাইফের সম্পত্তি। সে রাতে তাঁরা সকলে দ্বাদশ তলে ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছিল, দুই ছেলে-সহ দম্পতির সঙ্গে ছিলেন তাঁদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জনা চারেক মহিলা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, চারটি তল নিয়ে যাঁদের বাড়ি, তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি মাত্র চারজন মহিলা কর্মী থাকেন রাতে? ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন অন্য কর্মীরা? কেন তাঁরা কেউ হাসপাতালে গেলেন না?

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, পুলিশ তিন কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ প্রথমেই দাবি করেছিল, বাইরে থেকে রাতে কেউ ঢোকেনি ভিতরে। বরং আগের দিন দুপুরে ঢুকে থাকতে পারে। পরে কেন সে বিষয়ে আর কোনও তথ্য প্রকাশ করল না পুলিশ?