Home কৃষি সাপাহারে এ বছরও গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সাপাহারে এ বছরও গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মওসুমের শেষ সময়ে গম ক্ষেতে ছিটানো হচ্ছে কীটনাশক
চলতি বছরে এই উপজেলায় গম চাষ হচ্ছে ৪ হাজার ২ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৬০ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৬/১৭ মন হারে গম উৎপাদন হতে পারে। এই বছরে সরকারীভাবে ১হাজার ৬শ’ জন কৃষককে গমের প্রনোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
হারুনুর রশিদ,  সাপাহার (নওগাঁ) থেকে : মৌসুম প্রায় শেষের পথে হওয়ায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার গমচাষীরা। মৌসুমের শুরুতে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় কিছু কিছু এলাকায় গমের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে শেষ সময়ে এসে আবহাওয়া ভালো থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করছেন গমচাষীরা। ভালো ফলন পাবার আশায় শেষ সময়ে এসে গমের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গমের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশাবাদী তারা।
সরেজমিনে দেখা যায় মৌসুম শেষের দিকে এসে কৃষকেরা গমের ফলন বৃদ্ধি ও দানা পরিপুষ্ট করতে জিংক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করছেন। এছাড়াও উড়ানি পোকা ও রোগ বালাই-দমনের বালাইনাশক ব্যবহার করছেন। এছাড়াও গম ক্ষেতের পরিচর্যার কোন ঘাটতি নেই কৃষকদের মাঝে।
উপজেলার কাশিতাড়া গ্রামের গমচাষী ইসাহাক আলী জানান, শুরুতেই বৃষ্টির কারনে গমের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া ভালো হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে এবার গমের ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
একই গ্রামের কৃষক মোকলেছুর রহমান বলেন, গমের দানা পরিপুষ্ট হতে শুরু করেছে। আর কিছুদিরে মধ্যেই গম কাটা-মাড়ার কাজ শুরু হবে। শেষ সময়ে এসে আমরা গমের বিভিন্ন প্রকার পরিচর্যা করছি। এ বছরে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাপলা খাতুন জানান, চলতি বছরে এই উপজেলায় গম চাষ হচ্ছে ৪ হাজার ২ শত ৭৫ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৬০ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৬/১৭ মন হারে গম উৎপাদন হতে পারে। এই বছরে সরকারীভাবে ১হাজার ৬শ’ জন কৃষককে গমের প্রনোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এই বছরে গত বছরের তুলনায় গমের উৎপাদন বেশি হতে পারে।
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এলাকার গমচাষীদের সব রকম পরামর্শ দেয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদদপ্তরের পক্ষ থেকে অব্যহত রয়েছে।
বুকভরা আশা নিয়ে গমের পরিচর্যা করছেন গমচাষীরা। এই অঞ্চলে গত বছরে গমের বাম্পার ফলন  হয়েছে। চলতি বছরে ঝড় বৃষ্টি না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের ন্যায় গমের বাম্পার ফলন হতে পারে।