Home দিল্লি কলেজে যাননি, তারপরও যেভাবে ভারতের শীর্ষ ধনী নারী

কলেজে যাননি, তারপরও যেভাবে ভারতের শীর্ষ ধনী নারী

সাবিত্রী জিন্দাল। ছবি সংগৃহীত

 

সাবিত্রী জিন্দালের কোটিপতি হয়ে ওঠার গল্প রূপকথার চেয়ে কম নয়। ১৯৭০ সালে জিন্দাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি ওমপ্রকাশ জিন্দালের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ওমপ্রকাশ ছিলেন ভারতে ইস্পাত সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি। নয় সন্তান, সংসার সামলে ব্যবসা করার কথা ভাবেননি কখনও। চার দেওয়ালের ভেতরেই ছিল তাঁর জীবন। কিন্তু সবকিছু বদলে যায় আচমকা।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

সাবিত্রী জিন্দাল। কখনও কলেজে যাননি। আর পাঁচটা মানুষ যে বয়সে অবসরের পরিকল্পনা করেন, সেই বয়সে এসে তিনি ব্যবসার মারপ্যাঁচ শিখতে শুরু করেন। আর আজ তিনিই ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী।

সাবিত্রী জিন্দালের কোটিপতি হয়ে ওঠার গল্প রূপকথার চেয়ে কম নয়। ১৯৭০ সালে জিন্দাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি ওমপ্রকাশ জিন্দালের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ওমপ্রকাশ ছিলেন ভারতে ইস্পাত সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি। নয় সন্তান, সংসার সামলে ব্যবসা করার কথা ভাবেননি কখনও। চার দেওয়ালের ভেতরেই ছিল তাঁর জীবন। কিন্তু সবকিছু বদলে যায় আচমকা।

২০০৫ সালে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওমপ্রকাশের। উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরের কাছে তাঁর হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। ওমপ্রকাশের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের ছেলে তথা সে সময় ওই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংয়েরও।

ওমপ্রকাশ নিজেও ছিলেন হরিয়ানার হিসার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন হরিয়ানার বিদ্যুৎমন্ত্রী। স্বামীর অকালপ্রয়াণের পরে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে গৃহবধূ সাবিত্রীর। তিনি নিজেই স্বামীর সাম্রাজ্য সামলানোর দায়িত্ব তুলে নেন কাঁধে। ব্যবসার খুঁটিনাটি শিখে নেন খুব তাড়াতাড়ি। সে সময় সাবিত্রী জিন্দালের বয়স ছিল ৫৫ বছর।  তিল তিল করে গড়ে তোলা স্বামীর ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের গায়ে কোনও আঁচ লাগতে দেননি তিনি। উল্টে ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের একসময়ের রিপোর্টে ভারতে ধনীতম শিল্পপতিদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন সাবিত্রী জিন্দাল। কিন্তু এখন তাঁর সম্পত্তির বহর আরও বেড়েছে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। অবশ্য এই গোটা সময়ে উইপ্রোর শেয়ারে ধস নামায় আজিম প্রেমজির সম্পদের পরিমাণ ৪২ শতাংশ কমেছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান পেশ করেছে। সেটি অনুসারে, দুই বছর আগে প্রেমজি ভারতের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তার থেকে এগিয়ে ছিলেন মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানি। কিন্তু গত দুই বছরে উইপ্রোর সময় খারাপ যাওয়ায় প্রেমজির সম্পদও কমেছে। এগিয়ে গেছেন সাবিত্রী জিন্দাল।

১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সাবিত্রী। আসামের তিনসুকিয়া শহরে বড় হন।