ঢাকা: রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে ‘নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া’ বইয়ের সপ্তম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজনে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা এ বইয়ের লেখক দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আহবায়ক আবদাল আহমেদ।
তিনি বইটিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবদান, মুক্তিযুদ্ধে দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে একাত্তরের বন্দিশিবিরে অবস্থান, জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্রপতি তখন একজন সাধারণ গৃহবধূ হিসেবে আড়ালে থাকা জীবন ও সেই গৃহকোণ থেকে রাজপথে এসে দাঁড়ানোসহ তার নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন।
সৈয়দ আবদাল হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলকালে খালেদা জিয়া বন্দি ছিলেন। এরপর তিনি নিভৃতে সংসার জীবনে ছিলেন। ১৯৮১ সালে স্বাধীনতার মহান ঘোষক জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর জনগণের আহ্বানে তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং এখনো আছেন। স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার নিরলস সংগ্রামের কথা কারো অজানা নয়। তার নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামেই এরশাদের ক্ষমতার মসনদ তাসের ঘরের মত উড়ে যায়।
তিনি বলেন, জনগণ তাকে আপসহীন নেত্রী, দেশনেত্রী উপাধিতে সম্মানিত করেছে। এরপর ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের বিরুদ্ধে তার গণতন্ত্রের লড়াই এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরসাশনের বিরুদ্ধে তার আপসহীন লড়াই দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। খালেদা জিয়ার অপরিসীম ত্যাগ এবং দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আজকের অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্টিত হবে।
আবদাল আহমেদ বলেন, প্রতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং বিশেষ করে বিগত জুলাই বিপ্লবে তার অপরিসীম ত্যাগ ও নেতৃত্বের সাক্ষী আমরা সবাই। দিন নেই, রাত নেই-লন্ডন থেকে সারা দেশের নেতা কর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রেখেছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং উজ্জীবিত করেছেন। বিশেষ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে জেল গেলে গত সাড়ে ৬ বছর তিনি দলকে যে ভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তা এক কথায় অতুলনীয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. আনোরুল্লাহ চৌধরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, রসায়ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন রুনু, ভারপ্রাপ্ত চেয়্যারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসিম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজেড সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
-সূত্র: আমার দেশ